নিহত মণীশ শুক্লার বিরুদ্ধে বহু মামলা, ব্যক্তিগত কারণেও খুন হতে পারেন, কোনও সিদ্ধান্তে আসবেন না, ট্যুইট রাজ্য পুলিশের

টিটাগড়ে খুন হওয়া বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার মতো অভিযোগ রয়েছে। খুনের পিছনে থাকতে পারে ব্যক্তিগত শত্রুতাও। তাই যথাযথ পুলিশি তদন্ত ছাড়া কেউ কোনও সিদ্ধান্তে আসবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ ‘দায়িত্বহীন’ মন্তব্য করবেন না। ট্যুইটে আর্জি জানাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

রবিবার সন্ধ্যায় বারাকপুরের টিটাগড়ে পার্টি অফিসের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার। বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ ঘনিষ্ঠ নেতার এই মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই হিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। মণীশ শুক্লার খুনের পিছনেও তৃণমূলের হাত দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার এ নিয়ে বারাকপুরে বনধ ডাকে তারা।

এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূলের দাবি নিজের দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই বিজেপি নেতার। তবে কাউকেই এই খুনের নেপথ্যে কারণ আগে থেকে অনুমান করতে বারণ করছে পুলিশ। সোমবার রাজ্য পুলিশের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা একটি ট্যুইটে লেখা হয়, গত সন্ধ্যাবেলা টিটাগড়ে খুনের ঘটনার তদন্ত চলছে। ব্যক্তিগত কারণেও তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। কারণ, মণীশ শুক্লার বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার মতো বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। নেটিজেনদের উদ্দেশে রাজ্য পুলিশের বার্তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বহীন মন্তব্য পুলিশি তদন্তে হস্তক্ষেপের সমতুল্য। তাই দয়া করে এটা থেকে বিরত থাকুন।

এদিকে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার দেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে সোমবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশি বাধা পেরিয়ে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। ধস্তাধস্তি বাধে হাসপাতালের গেটের সামনে। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সব্যসাচী দত্ত, লকেট চ্যাটার্জি, অর্জুন সিংহের সঙ্গে ছিলেন কয়েক হাজার দলীয় কর্মী। অভিযোগ, বিজেপি নেতাদের হাসপাতালে ঢুকতে প্রথমে বাধা দেয় পুলিশ। হাসপাতালের গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। এর পর মণীশ শুক্লার পরিবার পরিজনদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ।

পুলিশের তরফে জানানো হয়, হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা চলছে। তাই হাসপাতালে সবাইকে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে বিজেপির অভিযোগ, মণীশ শুক্লার দেহ লোপাট করার চেষ্টা করছে সরকার। বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন বলেন, রাতের অন্ধকারে দেহ পাচার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সাংসদ অর্জুন সিংহ অভিযোগ করেন, পুলিশের বন্দুক দিয়ে মণীশ শুক্লাকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।

 

Comments are closed.