লোকসভায় পরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোটদানের হার অনেক বেশি হওয়া কীসের ইঙ্গিত?

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত যে চার দফার ভোট হয়েছে তাতে ভোট বাক্সে কি ঝড় তুলছেন মহিলারাই? পশ্চিমবঙ্গে ভোটদানের হার বিশ্লেষণ করার পর এমন ইঙ্গিতই মিলছে। প্রথম দু’টি দফার মতো তৃতীয় দফাতেও ভোটদানের হারে পুরুষদের কার্যত ধরাশায়ী করেছেন বাংলার ‘লক্ষ্মী’রা। তৃতীয় দফায় পুরুষদের তুলনায় অন্তত ১১ শতাংশ বেশি ভোট দিয়েছেন মহিলারা। এই দফায় ৭২.২১ শতাংশ পুরুষ ভোট দিয়েছেন। সেখানে মহিলা ভোটের হার ৮৩.০১ শতাংশ। চতুর্থ দফায় যে আট কেন্দ্রে ভোট হয়েছে তাতেও প্রাথমিকভাবে এই প্রবণতাই উঠে এসেছে। এখানেই শেষ নয়, আসনভিত্তিক ভোট দানের হারেও পুরুষদের কয়েক যোজন দূরে ফেলেছেন মহিলারা।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গিপুর কেন্দ্রে পুরুষ এবং মহিলাদের ভোটদানের হারের পার্থক্য প্রায় ১৩ শতাংশ। সেখানে পুরুষ ভোটের হার ৬৮.৯১। মহিলা ভোট পড়েছে ৮২.৭৫। মালদহ দক্ষিণেও একই চিত্র। এই কেন্দ্রে পুরুষ ভোটের হার ৭১.৩৩ শতাংশ। মহিলা ভোটের হার ৮২.১৫। ব্যতিক্রম নয় মালদহ উত্তরও। এই কেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটের হারের পার্থক্য প্রায় ১০ শতাংশ। এখানে পুরুষ ভোটের হার ৭১.২২ শতাংশ। আর মহিলা ভোট পড়েছে ৮১.০১ শতাংশ। তৃতীয় দফায় চারটি আসনের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছিল মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে। সেখানেও পুরুষ এবং মহিলা ভোটের হারে সুস্পষ্ট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এই কেন্দ্রে ৭৭.১৪ শতাংশ পুরুষ ভোট দিয়েছেন। মহিলা ভোটের হার ৮৬.০৭ শতাংশ। অর্থাৎ এই কেন্দ্রে প্রায় নয় শতাংশের পার্থক্য পুরুষ এবং মহিলা ভোটে।

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই বাড়তি ভোটদানের প্রবণতায় অনেকেরই ধারণা, রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথমবার মহিলারা বড়সড় ভূমিকা পালন করতে চলেছেন। তাঁদের ব্যাখ্যা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রীর মতো সামাজিক প্রকল্প মহিলাদের আরও বেশি করে মূল স্রোতে ফেরাচ্ছে। ভোটদানের হারে তারই প্রতিফলন ঘটছে।

Comments are closed.