বাংলায় রাষ্ট্রপতির জন্য এলাহি খাবারের আয়োজন, নৈশভোজ ও মধ্যাহ্ন ভোজে কী কী মেনু ছিল?

এই প্রথম বাংলায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বাংলয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে শান্তিনিকেতনের মাটিতে পা রেখেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। বিশ্বভারতীতে রাষ্ট্রপতির জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনের বিশেষ আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিরামিষাশী। তাই দুপুরের খাদ্য তালিকায় ছিল দেশি ঘি, পোস্ত বড়া, বেশ কয়েক রকমের ভাজা, রসুন ছাড়া সবজি, মুগ ডাল, সুস্বাদু পনির, মাশরুম সহ একাধিক নিরামিষ পদ।  এদিন শান্তিনিকেতনের বিনয় ভবন সংলগ্ন কুমির ডাঙ্গার মাঠে হেলিকপ্টারে করে নামেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির শান্তিনিকেতন সফর ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হয়েছে।  হেলিপ্যাড ময়দান, আম্রকুঞ্জ, রবীন্দ্র ভবন-সহ একাধিক জায়গায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সোমবার রাজ্যে আসেন  রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ওইদিন রাজভবনে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজের মেনুতে ছিল ঝুরঝুরে আলু ভাজা থেকে শুরু করে দই, রসগোল্লা সহ আরও অনেক কিছু। মেনুতে ছিল ডাবের জল, কমলালেবু ও তরমুজের সরবত। স্ন্যাকসে ছিল ছানার চপ, কাসুন্দি ও কিসমিস-আলু দিয়ে বানানো সিঙারা। দুই ধরণের স্যুপ ছিল। ছিল বিভিন্ন ধরণের ড্রাই ফ্রুটস। মেন কোর্সে ছিল পটলের পুরভরা দোলমা, বাদাম ও দুধ দিয়ে বানানো লাউ। গোবিন্দভোগ চালের ভাতের সঙ্গে ছিল লাল শাকের চচ্চড়ি, এচোঁড় কালিয়া, ভাজা মুগের ডাল। তেমনি ছিল লুচি, পরোটা ও হাতে গড়া রুটি।  বাঙালী খাবারের সঙ্গে মিশ্রন ছিল উত্তর ভারতের খাবারের। ছিল মাশরুম ও কড়াইশুঁটির তরকারি। শেষপাতে ছিল খেজুর, পেঁপের চাটনি। মিষ্টি দইয়ের সঙ্গে ছিল রসগোল্লা। ছিল আঞ্জির কা হালুয়া, আখরোটের পুডিং, ক্ষীর চন্দ্রকলা।

Comments are closed.