বাংলার মেয়ে রানি মুখার্জির বাবা-মা কে ঘরে বন্ধ করে আটকে রাখার হুমকি দিয়েছিলেন শ্বশুর যশ চোপড়া, এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী

বলিউড ইন্ডাস্ট্রি মানেই এক বিশাল সমুদ্র। এই সমুদ্রে অন্যতম স্বনামধন্য পরিচালক ছিলেন যশ চোপড়া। এক শে বার কার এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এই স্বনামধন্য পরিচালক একবার রানী মুখার্জ্জী তার পরিচালিত ছবিতে অভিনয় করতে না চাওয়ায় তার বাবা-মাকে আটকে রাখার হুমকি দিয়েছিলেন। সেইসময় ঐ হুমকির কথা শুনেই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন অভিনেত্রী।

রানী মুখার্জ্জী বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। অভিনেত্রীর বাবা রাম মুখোপাধ্যায় ও মা কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়। ২০০২ সালে যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে ‘মুঝসে দোস্তি করোগে’ ছবি করার পর প্রায় আট মাস সমস্ত ছবির অফার ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন অভিনেত্রী। প্রায় আট মাস কোনো কাজ করেননি তিনি। ঐ সময়ে পরিবারের সদস্যরাও তার এই হাবভাবে অবাক হয়েছিলেন। অভিনেত্রী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, সেইসময়ে তার কাজ করার ইচ্ছাটাই চলে গিয়েছিল। তিনি বাড়িতে এমনিই বসে থাকতেন।

এরপর ২০০২ সালে যশ চোপড়া ‘সাথিয়া’ ছবিতে অভিনয় করার জন্য রানী মুখার্জ্জীর কাছে প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু রানী মুখার্জ্জীর বাবা-মা যশ চোপড়াকে গিয়ে জানিয়ে দেন তিনি এই ছবিতে অভিনয় করতে চান না। এরপর পরিচালক অভিনেত্রীর বাবা মাকে সামনে বসিয়ে রেখেই অভিনেত্রীকে ফোন করেন। তিনি অভিনেত্রীকে ফোনে বলেছিলেন এই ছবিটি তার কথা ভেবেই লেখা হয়েছে। তিনি এই ছবিতে অভিনয় করতে যতক্ষণ না রাজি হবেন ততক্ষণ তিনি তার বাবা-মাকে বন্ধ করে রাখবেন। এরপরে অবশ্য সেই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হন অভিনেত্রী।

‘সাথিয়া’ ছবি তার জীবনের অন্যতম হিট ছবি তা তিনি শুরু থেকেই স্বীকার করেছেন। এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন বিবেক ওবেরয়। এই ছবিতে তাদের রসায়ন আজও নজর কাড়ে দর্শকদের। পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, যশ চোপড়ার কাছে তিনি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। কারণ সেদিন তিনি তাকে জোর না করলে তিনি ‘সাথিয়া’র মতো ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ হারাতেন।

পরবর্তীকালে রানী মুখার্জ্জী যশ চোপড়ার বড় ছেলে আদিত্য চোপড়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তাদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। নাম আদিরা। ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে মারা গিয়েছেন যশ চোপড়া। তবে সম্প্রতি পরিচালকের ঘটানো এই ঘটনার কথা আবারও উঠে এসেছে মানুষের সামনে।

Comments are closed.