বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার খুন দুর্ঘটনা, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

বুলন্দশহর হিংসা এবং পুলিশ ইন্সপেক্টর খুনকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে আখ্যা দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুক্রবার আদিত্যনাথ লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, সিয়ানার স্টেশন হাউস অফিসার সুবোধ কুমার সিংহের মৃত্যু একটি দুর্ঘটনা। কোনও গণরোষের ঘটনা নয়। এদিকে, শনিবার বুলন্দশরের পুলিশ সুপারকে বদলি করেছে যোগী সরকার।
অন্যদিকে, বুলন্দশহরে পুলিশ খুনের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে যে সেনা জওয়ানের নাম উঠে এসেছিল, সেই জিতেন্দ্র মালিক বা জিতু ফৌজিকে আটক করা হয়েছে শনিবার। জম্মু-কাশ্মীরে তাঁর ইউনিট থেকে তাঁকে আটক করে উত্তর প্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ রা ডিসেম্বর বুলন্দশহরের সিয়ানায় থানায় হামলা করে কম পক্ষে ৪০০ মানুষ। গুলিতে মৃত্যু হয় ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহের। উত্তেজিত জনতা ডজনখানেক গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। পুরো ঘটনাটিই গুরুতর ষড়যন্ত্র বলে জানিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজি। যেখানে রাজ্য পুলিশের প্রধান এই ভয়ঙ্কর ঘটনাকে বড় ষড়যন্ত্র বলছেন, সেখানে ঘটনার এতদিন বাদে দুর্ঘটনার তত্ত্ব আনলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআর হয়েছে ৯০ জনের নামে। এমনকী উত্তর প্রদেশের বিজেপি মন্ত্রী ও পি রাজভর বুলন্দশহর হিংসার পিছনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরঙ দল, এবং আরএসএসের ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। সমাজবাদী পার্টির প্রেসিডেন্ট অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছেন, বিজেপি আমলে হিংসাত্মক ঘটনার পরিমাণ বেড়েছে। বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী গণহিংসার পিছনে বিজেপি সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভ্রান্ত নীতিকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে বামপন্থীরা এই ঘটনার পিছনে যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক কথাবার্তাকে দায়ী করেছে। তাদের অভিযোগ, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

Comments are closed.