২০০৫ সালের মামলায় তেলেগু কবি ও সমাজকর্মী ভারভারা রাওকে হেফাজতে নিল কর্ণাটক পুলিশ। বর্তমানে পুণের ইয়েরওয়াড়া সেন্ট্রাল জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন ভারভারা রাও। বুধবার সেখান থেকেই ১৪ বছরের পুরনো মামলায় তেলেগু কবিকে হেফাজতে নেয় কর্ণাটক পুলিশ।
২০০৫ সালের ৬ ই ফেব্রুয়ারি কর্ণাটকের চিকমাগালুর জেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন মাওবাদী নেতা সাকেত রাজন ওরফে প্রেম। এর পাল্টা জবাব দেয় মাওবাদীরা। ঘটনার ৫ দিন পর তুমাকুরু জেলায় কর্ণাটক রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ ব্যাটালিয়নে হামলা হয়। তাতে মৃত্যু হয় ৬ জওয়ানের, একজন সাধারণ মানুষেরও মৃত্যুর হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৩ সালে চিকমাগালুরে একটি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন ভারভারা রাও।
ভারভারা রাও ছাড়াও এই মামলায় নাম রয়েছে আরেক তেলেগু কবি এবং গণসঙ্গীত শিল্পী গদরের। ভারভারা রাও ও গদরের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করেছে কর্ণাটক পুলিশ। গদরের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। অন্যদিকে এই মামলায় বাকিদের খালাস করে দিয়েছে আদালত। যদিও সবাইকে রেহাই দেওয়ার আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে কর্ণাটকের রাজ্য সরকার। তবে এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। বৃহস্পতিবারই ভারভারা রাওকে পাভাগাডার জেএমএফসি আদালতে পেশ করে পুলিশ।
এদিকে ভারভারা রাওয়ের স্ত্রী পি হেমলতার দাবি, প্রায় দেড় দশক পুরনো এই মামলায় সমস্ত অভিযুক্তদের মুক্তি দিয়ে দেওয়ার পর ভারভারা রাওয়ের গ্রেফতারি এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করছে।
গত বছর ২৮ শে অগাস্ট ভিমা কোরেগাঁও সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে মানবাধিকার কর্মী সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেরা, ভার্নন গঞ্জালভেস, গৌতম নওলাখার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছিল তেলেগু কবি ভারভারা রাওকে। পুলিশে দাবি ছিল, ২০১৭ র ৩১ শে ডিসেম্বর এলগার পরিষদে দেওয়া ভাষণের পরের দিনই ভিমা কোরেগাঁওয়ে হিংসার ঘটনা ঘটে। ভিমা কোরেগাঁও মামলায় গত বছরই ভারাভারা রাও সহ একাধিক মানবাধিকার এবং সমাজকর্মীকে গ্রেফতারের তীব্র সমালোচনা করেছিল কংগ্রেস। এক বছরের মধ্যেই সেই কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারই ১৪ বছরের পুরনো মামলায় গ্রেফতার করল ভারভারা রাওকে।
Comments are closed.