মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএমকে তুমুল আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, জ্যোতিবাবু-বুদ্ধবাবুরা এত নির্লজ্জ সিপিএম ছিলেন না! এই দলটিকে নিয়ে আর কী বলব?
২০১৩ সাল থেকেই রাজ্যে বিজেপির দাপট বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সময় থেকে মমতা ব্যানার্জির দাবি ছিল, রাজ্যের বামেরা রামে পরিণত হয়েছে। সিপিএম ভোট ট্রান্সফার করছে গেরুয়া শিবিরে। সিপিএমের হার্মাদরাই ভেক বদলে বিজেপি হয়েছে। মমতার এই অভিযোগ পুরনো। এবার বিধানসভা ভোটের আগে সেই ইস্যুতে ফের সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, বিজেপির সবচেয়ে বড়ো সর্দার হয়েছে সিপিএম। তারপর তিনি বলেন, বামপন্থী বন্ধুরা এই সিপিএমকে আপনারা চেনেন না। এদের মতো এত নির্লজ্জ সিপিএম জ্যোতিবাবু-বুদ্ধবাবুরাও ছিলেন না। এই সিপিএম নিয়ে আর কিছু বলার নেই।
সিপিএম কীভাবে বিজেপিকে সাহায্য করছে তা বলতে গিয়ে মমতা টেনে আনেন আম্ফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু গরিব মানুষ অন্যায়ভাবে টাকা নিয়েছিলেন, সেটা সত্যি। কিন্তু এটাও সত্যি যে জানাজানির পর টাকা ফেরত দেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপি হাজার হাজার কোটি টাকা তছরুপ করছে প্রতিদিন, সিপিএম কেন তার হিসেব চায় না? পিএম কেয়ারসে কত এলো, কোথায় কত খরচ হল, তার তথ্য জানার উৎসাহ নেই সিপিএমেরপিএম কেয়ারসে কত এলো, কোথায় কত খরচ হল, তার তথ্য জানার উৎসাহ নেই সিপিএমের, দাবি মমতার।
২০১৪ সালে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন বাম নেতৃত্ব। তখন ফিশফ্রাই সহযোগে মমতা বিমান বসুদের আপ্যায়ন করেছিলেন। সেদিন বিমান বসুকে মমতা প্রশ্ন করেছিলেন, আপনার ভোট বিজেপিতে চলে যাচ্ছে কেন?
রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের পিছনে সিপিএমের হাত আছে বলে দাবি করে এসেছেন মমতা ব্যানার্জি। সিপিএমের হার্মাদরা শিবির বদলে বিজেপির হয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। গত লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, সিপিএমের ভোট ঠেকেছে ৭ শতাংশে এবং রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে মমতার অভিযোগ মান্যতা পেয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। এবার বিজেপির সমালোচনা করতে গিয়ে ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সিপিএমকে। টেনে আনলেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম।
Comments are closed.