ফ্যাট এড়াতে নিষিদ্ধ ডিমের কুসুম! নিশ্চিন্তে খান কুসুম ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি, বলছে পুষ্টিবিদ
গোটা ডিমটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযোগী জেনে নিন।
পুষ্টি পাতে ডিম অন্যতম। এমনকি শরীরের পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসকরা আগে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। কিন্তু ইদানিং সেই চল কমে গিয়েছে। যারা শরীরচর্চা এবং ডায়েট মেন্টেন করে তারা কেবলমাত্র ডিমের সাদা অংশটাই বেছে খান, বাকি কুসুম নৈব নৈব চ। অনেকের ধারণা কুসুমের প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে যা শরীরচর্চায় অপ্রয়োজনীয়। এছাড়াও কুসুম খাওয়া মানে হার্টের সমস্যাকে ডেকে আনা। কিন্তু এই ধারণা কী আদৌ যুক্তিযুক্ত?
প্রথমেই জানিয়ে রাখা উচিত কোলেস্টরেল মূলত দুই প্রকারের। একটি ভালো, অন্যটি খারাপ। ডিমের কুসুমে দুইই রয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ডিমের কুসুমে খারাপের থেকে ভালো কোলেস্টরেল তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। কিন্তু আমাদের ভুল ধারণার কারণে ডিমের সঠিক পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত থাকি। গোটা ডিমটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযোগী জেনে নিন।
সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিম কতটা উপকারী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিম খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, আয়রন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি। তাই ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়। মূলত প্রোটিন এবং ভিটামিন উৎকৃষ্ট পরিমাণে থাকার জন্য ডিম সারা বিশ্বে সমাদৃত।
এখন প্রশ্ন হল দিনে ক’টা ডিম খাওয়া যেতে পারে? পুষ্টিবিদদের মতে, একদিনের কখনও বেশি সংখ্যায় ডিম খাওয়া ভাল না। শিশুদের ক্ষেত্রে দিনে একটি এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনের দুটি ডিম খাওয়া উচিত।
Comments are closed.