বাড়িতে এখনও নরেন্দ্র মোদীর মূর্তিতে শোভা পাচ্ছে বহুচর্চিত সেই স্ট্রাইপড স্যুট। ভেবেছিলেন ভোট পর্ব চলাকালীন এই মূর্তি দেখতে কেউ এলে, নিজে ঘুরিয়ে দেখাবেন। তিনি, নরেন্দ্র মোদীর বহুচর্চিত স্যুট ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকায় নিলামে কেনা, হিরের কারবারি লালজিভাই প্যাটেল। সুরাটের সেই বিখ্যাত হিরে ব্যবসায়ী লালজিভাইকেই এখন নিত্য ছুটতে হচ্ছে চৌকিদারের কাছে। কারণ, ধর্মনন্দন ডায়মন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধারকে বোকা বানিয়ে ১ কোটি টাকার হিরে নিয়ে পালিয়েছে দুই ভাই। তাদের খোঁজেই এখন হন্নে হয়ে ঘুরছেন লালজিভাই।
হিম্মত এবং বিজয় কোশিয়া, এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে হিরে ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তারা লালজিভাইয়ের ভালোমানুষির সুযোগ নিয়ে, তাঁর বিশ্বাস অর্জন করে, ১৫০০ ক্যারাট হিরে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। যার বাজারমূল্য ১ কোটি টাকা। গতবছর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সুরাটের কাতারগাঁও থানায় গত ২২ শে এপ্রিল এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্মনন্দন ডায়মন্ডসের ম্যানেজার কমলেশ কেভাডিয়া। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে কোশিয়া ভাইয়েরা পরে টাকা দেওয়ার শর্তে ১৫০০ ক্যারাট হিরে নিয়ে যান। ১২০ দিনের মধ্যে যেকোনও লেনদেন মিটিয়ে ফেলতে হয়, এটাই হিরে বাজারের দস্তুর। কিন্তু ১২০ দিন পেরিয়ে গেলেও টাকা না পাওয়ায় দুই ভাইকে ফোন করে সংস্থা। দেখা যায় ফোন বন্ধ। তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, অফিসে তালা। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন লালজিভাই।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই হিম্মত এবং বিজয় কোশিয়া ভাইয়েরা আগেও এই রকম হিরে জালিয়াতির মামলায় জড়িত ছিল। তবে কোশিয়া ভাইদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফেলা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিহিত একটি স্যুট নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক হয়। নিজেকে চা-ওয়ালা বলে দাবি করা নরেন্দ্র মোদী, বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় কেন বহমূল্য স্যুট পড়বেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিতর্কের মুখে স্যুটটি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিলামে ৭৮ লক্ষ টাকার স্ট্রাইপড স্যুট ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনেন সুরাটের হিরে ব্যবসায়ী লালজিভাই প্যাটেল। সেই সময় শিরোনামে এসেছিলেন লালজিভাই, এবারও এলেন, তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে।
Comments are closed.