দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়: মারধর, ছেঁড়া হল এসএফআই-এআইএসএফের মনোনয়ন পত্র, এবিভিপির বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগ

আগে এমন অভিযোগ শোনা যেত এ রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে। এবার সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল রাজধানী দিল্লির কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মারধর করে এসএফআই ও এআইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে।

৪ ঠা সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেদিন বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া বাম ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের মারধর করে এবং তাদের মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এআইএসএফের অভিযোগ, বুধবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসের ৪ নম্বর গেটের কাছে জড়ো হয়েছিলেন এবিভিপি সমর্থকরা। মনোনয়ন জমা দিতে সেই পথ দিয়েই যেতে হত। অভিযোগ, ৩ এসএফআই প্রার্থী এবং এক এআইএসএফ প্রার্থীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে এবিভিপি। সেখান থেকে কোনওক্রমে দৌড়ে ভিতরে ঢুকতে পারলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসের সামনে ফের এবিভিপির সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয়। কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেওয়া হয় মনোনয়ন পত্র। সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও, তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ বাম ছাত্র সংগঠনের। যদিও বাধা দেওয়া কিংবা মনোনয়ন পত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগকে সরাসরি মিথ্যে বলে দাবি করেছে এবিভিপি।

দিল্লিতে এবিভিপির মিডিয়া ইনচার্জ আশুতোষ সিংহের দাবি, হারের ভয়ে এই অভিযোগ তুলছে এসএফআই ও এআইএসএফ। কাউকে কোথাও আটকানো হয়নি। মারধরের তো প্রশ্নই ওঠে না। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল দুপুর ৩ টে। কিন্তু কেউ যদি তারপর আসে, তাহলে কর্তৃপক্ষ কীভাবে মনোনয়ন জমা নেবেন? পাল্টা প্রশ্ন এবিভিপি নেতা আশুতোষ সিংহের।

পুলিশের বক্তব্যেও এবিভিপিরই সুর খুঁজে পাচ্ছেন এসএফআই ও এআইএসএফ নেতৃত্ব। পুলিশের দাবি, এসএফআই এবং এআইএসএফ প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে এসেছিলেন দুপুর ৩ টে ১৫ নাগাদ। কিন্তু মনোনয়ন জমার সময় ছিল ৩ টে পর্যন্ত। তাই তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। কোনও গোলমালের কথা অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ।

এসএফআই এই ঘটনা নিয়ে দেওয়া প্রেস বিবৃতিতে এবিভিপির আক্রমণকে অগণতান্ত্রিক এবং হিংস্র বলে উল্লেখ করেছে। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন।

Comments are closed.