‘কোনও কোনও রাজ্য অতিরিক্ত ব্যস্ত হয়ে বাংলায় বেশি মানুষ পাঠাচ্ছে, তা রাজ্যের পক্ষে সমস্যার: স্বরাষ্ট্রসচিব

দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা যে সমস্ত রাজ্যে বেশি, সেই রাজ্যগুলো থেকে কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আমাদের রাজ্যে ফেরায়, জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে তা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বাংলায় ট্রেন আসা প্রসঙ্গে মন্তব্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন ব্যানার্জির।

তিনি বলেন, রাতারাতি অনেক ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও কোনও রাজ্য সহসা একটু বেশি ব্যস্ত হয়েছে… আমাদের মুখ্যসচিব সেই সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন, আলোচনা চলছে যাতে আমরা সমন্বয় বজায় রেখে সমস্যা সমাধান করতে পারি। স্বরাষ্ট্রসচিবের কথায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো যেমন রাজ্যের অগ্রাধিকার, তেমনই অপরিকল্পিতভাবে তা করতে গেলে প্রভাবিত হবে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো।

আমপান পরবর্তী বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রহণ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, বাংলাকে বাদ রেখে মহারাষ্ট্র সরকার এবং রেল বোর্ড এক তরফাভাবে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলাপন ব্যানার্জি জানান, রাজ্য মোট ২২৫ টি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। তার মধ্যে ১৯ টি ট্রেন ইতিমধ্যেই বাংলায় পৌঁছে গিয়েছে। বাকি ২০৬ টি ট্রেন যাত্রা শুরু করার মুখে দাঁড়িয়ে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, আমপানের ধাক্কায় রাজ্যের সামগ্রিক পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে বর্তমানে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ টি ট্রেন গ্রহণ করতে পারে রাজ্য। কিন্তু একবারে তার বেশি চলে এলে তা রাজ্যের জনস্বাস্থ্যের পক্ষে বড় সমস্যা হবে। তাই সবকটি রাজ্যের সঙ্গেই সরকারিস্তরে যোগাযোগ রেখে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এদিন স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯৩ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০০৯। স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, রাজ্যে কোভিড ১৯ পজিটিভিটি রেট ২.৫৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। রাজ্যের মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১১। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭২ জন সুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪৮৬ জন। সুস্থতার হার ৩৭.০৬ শতাংশ। রাজ্যে দেড় লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আলাপন ব্যানার্জি।

Comments are closed.