তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনে অস্বীকার অপসারিত সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মার

সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনার কে ভি চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেন সিবিআই-এর অপসারিত অধিকর্তা অলোক ভার্মা। বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর অপসারিত প্রধান সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনে (সিভিসি) প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ছিলেন। অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই ভার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিভিসি। প্রসঙ্গত, ভার্মার বিরুদ্ধ তদন্ত দু’ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে সিভিসি’কে রিপোর্ট দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১২ ই নভেম্বর শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।


পড়ুনঃ কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলল, সিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্বাবধানে দু’সপ্তাহে শেষ করতে হবে


দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সিবিআই-এর দুই শীর্ষ কর্তা প্রকাশ্যে নজিরবিহীন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় মোদী সরকার যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়ে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তিও যথেষ্ট ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাতারাতি দু’জনকেই ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় সরকার। অলোক ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানোর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, রাফাল তদন্ত ধামাচাপা দিতেই অলোক ভার্মাকে তাঁর পদ থেকে সরানো হয়েছে। রাফাল কাণ্ডে তদন্ত শুরু করার জেরেই ভার্মাকে অপসারণ বলে প্রশ্ন তোলেন অরবিন্দ কেজরীওয়ালও। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’কে ‘বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ বলেও কটাক্ষ করেন।


পড়ুনঃ কে এই মইন কুরেশি, যাঁর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠছে সিবিআই প্রধান এবং স্পেশাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে?


গোটা ঘটনায় নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে নিশানা করে তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি দাবি করেন, অন্যায়ভাবে অলোক ভার্মাকে অপসারণ করেছে মোদী সরকার। মোদী-অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আস্থানার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের জন্যই ভার্মাকে সরানো হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। প্রসঙ্গত, মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির দুর্নীতির তদন্ত কাণ্ডে সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টর আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মা। এরপরই ভার্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন আস্থানা।
তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে ছুটিতে পাঠনোর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অলোক ভার্মা। সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছিল, দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিভিসি। তাই তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সেই তদন্তের কারণেই এদিন ভার্মাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিভিসিতে।

Comments are closed.