জিওতে ফেসবুকের বিনিয়োগের পর কি এবার এয়ারটেলের শেয়ার কিনছে অ্যামাজন? রয়টার্সের প্রতিবেদনে শুরু জল্পনা

ফেসবুকের পথেই কি এবার অ্যামাজনও? ভারতী এয়ারটেলের অন্তত ২০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার কিনতে পারে অ্যামাজন। তিনটি পৃথক সূত্র থেকে এমনই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স। আলোচনা চূড়ান্ত হলে প্রায় ৩০ কোটি উপভোক্তার ভারতী এয়ারটেলের ৫ শতাংশ শেয়ার কিনতে চলেছে মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন। তবে পুরো বিষয়টি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রিলায়েন্স জিওর চাপে কার্যত ধুঁকছে এয়ারটেল ও অন্যান্য টেলিকম সংস্থা। ফেসবুক ও কেকেআর সংস্থার বিনিয়োগের ফলে সম্প্রতি প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়িয়েছে রিলায়েন্সের ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম। এই অবস্থায় অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি হলে নয়া সঞ্জীবনী পেতে পারে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা ভারতী এয়ারটেল। শুধু তাই নয়, নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে ভারতীয় টেলিকম সংস্থা। গতি পাবে ডিজিট্যাল কাজকর্ম।

এই প্রসঙ্গে মনে করা যেতে পারে, কিছুদিন আগেই জিওতে বিনিয়োগ করেছিল ফেসবুক। সেক্ষেত্রে ফেসবুকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অ্যামাজন যদি এয়ারটেলের শেয়ার কেনে, তাতে একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটর হিসেবে আটকে না থেকে নিজেদের নির্ভরযোগ্য ডিজিট্যাল প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে পেরেছে জিও। বাজারে টিকে থাকতে এয়ারটেলকেও সেটা করতে হবে। একদিকে এয়ারটেল যখন গ্রাহক ধরার পথ খুঁজছে তখন জেফ বেজোসের অ্যামাজন ভারতে আরও ব্যবসা বিস্তার করতে চাইছে। তাই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ভারতীয় বাজারের পক্ষেই ভালো। আর অ্যামাজন ভারতে বাজার ধরে রাখতে কতটা মরিয়া, তার প্রমাণ মিলেছে রয়টার্সকে দেওয়া দ্বিতীয় সূত্রের কথায়। সেই সূত্র জানাচ্ছে, এয়ারটেলের ৮ থেকে ১০ শতাংশ শেয়ার কেনা-সহ একাধিক বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে অ্যামাজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তিনজনের মধ্যে দু’জন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে এবং চুক্তির শর্ত বদলও হতে পারে। এমনকী চুক্তি ভেস্তেও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে এয়ারটেল গ্রাহকদের সস্তায় অ্যামাজনের পণ্য বা পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারতে নিজেদের ব্যবসার বিস্তার করতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে মার্কিন সংস্থা অ্যামাজন।

তবে এই চুক্তির বিষয়ে অ্যামাজনের তরফে মুখ খোলা হয়নি। সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, কোনও চুক্তি আমরা ভবিষ্যতে করতেও পারি, আবার নাও করতে পারি, জল্পনার ভিত্তিতে আমরা কোনও মন্তব্য করি না। অন্যদিকে এয়ারটেলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মের পরিষেবা, কন্টেন্ট ইত্যাদি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। এর বাইরে জনসমক্ষে আনার মতো এখনই কোনও ঘোষণা নেই।

Comments are closed.