দেশের অর্থনীতিকে আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশনে পাঠানোর বাজেট, তীব্র কটাক্ষ অমিত মিত্রের

শনিবার লোকসভায় যে বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাকে এক কথায় জনস্বার্থবিরোধী, দিশাহীন এবং চিন্তাহীন বাজেট বলে ব্যাখ্যা করলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
তিনি জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি যখন কঠিন মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, আর্থিক বৃদ্ধির হার গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা, বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম, কৃষি উৎপাদন কমেছে, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন নতুন কোনও দিশা দিতে পারল না এই বাজেট।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এবারের বাজেটে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তপশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ সব মিলিয়ে প্রায় ৮.৯ শতাংশ কমানো হয়েছে। এর আগে যা কোনও দিন ঘটেনি। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী মনে করেন, দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই বলেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকর এই প্রকার বাজেট করেছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পেশ করা এই বাজেট উদ্ধারের জায়গায় দেশের অর্থনীতিকে আরও তলানিতে পৌঁছে দেবে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে লোকসভায় যে বাজেট বক্তৃতা দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন, তাকে ফাঁপা বলে কটাক্ষ করেছেন অমিত মিত্র। তাঁর মতে, নতুন কোন দিশা দেখাতে পারেননি নির্মালা সীতারমন। মানুষকে তাই আরও কষ্টের দিকে ঠেলে দেবে এই বাজেট।
১০০ দিনের কাজ, ন্যাশনাল হেলথ মিশনের মত প্রকল্পগুলিতে কেন বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে সে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। বেকারদের নিয়ে কেন একটি শব্দও এই বাজেটে ঘোষণা করা হয়নি তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অমিত মিত্র। পাশাপাশি বলেছেন, এলআইসি ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পত্তির ভার বহন করছে। এই পরিস্থিতিতে এলআইসিকে আইসিইউ থেকে বের করে আনার পরিবর্তে তাকে বেসরকারি হাতে তুলে দিল ভারত সরকার, যা অত্যন্ত দুঃখের।

 

Comments are closed.