বিমুদ্রাকরণ নীতি ঘোষণার পর অমিত শাহ পরিচালিত সমবায় ব্যাঙ্কে পাঁচ দিনে জমা ৭৪৫ কোটি টাকা, বিতর্ক।

এর আগে বিতর্ক হয়েছিল ছেলেকে নিয়ে। এবার নিজেই বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তথ্য অধিকার আইনে জানা গেল, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মোদী সরকারের বিমুদ্রাকরণ নীতি ঘোষণার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে আহমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কে ৭৪৫ কোটি  ৫৯ লক্ষ টাকা জমে পড়ে। ঘটনাচক্রে এই সমবায় ব্যাঙ্কটির ডিরেক্টর ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তথ্য জানার অধিকার আইনে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অমিত শাহকে ট্যুইট করে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাহুল তাঁর টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘অমিত শাহজি আপনার ব্যাঙ্ক পুরনো নোট নতুনে বদলে ফেলায় প্রথম হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন জানাই। কোটি-কোটি ভারতীয়র জীবন ধ্বংস হয়েছে বিমুদ্রাকরণ নীতির ফলে। আপনার এই সাফল্যকে তারা স্যালুট জানাচ্ছে’।  কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আরও দাবি করেছেন, বিজেপি নেতাদের পরিচালিত গুজরাতের মোট ১১ টি সমবায় ব্যাঙ্কে বিমুদ্রাকরণ নীতি ঘোষণার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জমা পড়ে। যদিও এরপর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, সমবায় ব্যাঙ্কে বাতিল নোট লেনদেন অবৈধ। তার আগেই অবশ্য এই বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়ে গেছে। মনোরঞ্জন এস রায় নামে এক ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন, বিমুদ্রাকরণ নীতির ফলে কোন ব্যাঙ্কে কত বাতিল ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট জমা পড়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই তথ্য উঠে এসছে। গোটা ঘটনায় খানিকটা ব্যাকফুটে বিজেপি শিবির।

Leave A Reply

Your email address will not be published.