পরপর দু’দিন, মালদার পর কোচবিহার, বিএসএফের গুলিতে ফের মৃত্যু

বিএসএফের কাজের পরিসর বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতের মধ্যে ফের রাজ্যে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু একজনের। কোচবিহারের গীতলদহে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল এক গরু পাচারকারীর। বুধবার গভীর রাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল গরু পাচার করছিল। বিএসএফের বাধা দেওয়ায় চেষ্টা করলে ওই গরু পাচারকারীরা রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। দুপক্ষের হাতাহাতিতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। এর আগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মালদার কালিয়াচকে মাদক পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশির।

পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি চালাতে পারবে বিএসএফ। প্রয়োজনমাফিক জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতার এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে তাঁরা। এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। বিএসএফ-এর কাজের পরিসর বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা এবং ডিজি মনোজ মালব্যর সহ সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা।

সেই দিন ভোরেই নভেম্বর মাসেই কোচবিহারের সিতাইয়ে সাত ভাণ্ডারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় বলে পুলিশ দাবি করেছিল। এই ঘটনার পর বিএসএফের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ।

Comments are closed.