আগেই একাধিক মামলায় রিপাবলিক টিভির অন্যতম কর্ণধার এবং সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে জেরা করেছে মুম্বই পুলিশ। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে রক্ষাকবচ দিলেও বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে দুটি এফআইআরের ভিত্তিতে বুধবার, ১০ জুন ফের মুম্বই পুলিশের জেরার মুখে পড়েন অর্ণব গোস্বামী। তাঁর অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের আগে তাঁকে ৩-৪ ঘণ্টা থানার বাইরে অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে।
সত্যিই তদন্তের স্বার্থে এই জেরা, নাকি মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে অর্ণবকে হেনস্থা করছে, সেই প্রশ্নও উঠছে। অর্ণবের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রতিটি এফআইআর মিথ্যা এবং বানানো। বুধবার মুম্বইয়ের এন এম জোশী মার্গ যোশী থানার ভেতর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমকে অর্ণব বলেন, এর আগে তাঁকে সাড়ে ১২ ঘণ্টা জেরা করেছে মুম্বই পুলিশ। আর বুধবার রিপাবলিক টিভি-র সিএফও এস সুন্দরমকে তাঁর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সময়ে পৌঁছে গিয়েও তিন ঘণ্টার বেশি সময় থানার বাইরে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ করেন অর্ণব গোস্বামী।
অর্ণব সাংবাদিকদের জানান, রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলার পিছনে রয়েছে সনিয়া গান্ধী, রবার্ট বঢরা ও কংগ্রেস টিমের প্রভাব। তাঁর কথায়, বান্দ্রার ঘটনার প্রকৃত সত্য ও ষড়যন্ত্র আমরা প্রকাশ্যে এনেছিলাম। আর তারই পুরস্কার দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার, থানায় গিয়ে সাংবাদিকতার ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে আমাকে। তবে অর্ণব গোস্বামীর দাবি, ‘সত্যের সঙ্গে আছি। জয় আমাদের হবেই। এটা শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেনস্থার চেষ্টা।’
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের পালঘরে সাধু হত্যার ঘটনা নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল অর্ণব তাঁর শোয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেন, এই অভিযোগে একাধিক এফআইআর দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, বান্দ্রা রেল স্টেশনে লকডাউন উপেক্ষা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের জড়ো হওয়া নিয়ে অর্ণবের খবর সম্প্রচারের বিরুদ্ধে অন্য একটি এফআইআর দায়ের হয়। রিপাবলিক টিভির অন্যতম কর্ণধার ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১৫৩, ১৫৩ এ, ২৯৫ এ, ৫০০ এবং ৫০৫ (২) ধারায় মামলা করে কংগ্রেস।
গত মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টে অর্ণব গোস্বামী তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা দুটি এফআইআর খারিজের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া ও রিয়াজ চাগলার বেঞ্চে জানায়, তাঁকে বুধবার এনএম জোশী মার্গ থানায় হাজিরা দিতে হবে।