#মিটুঃ ‘আমি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলি না’, আনন্দবাজার পত্রিকায় যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে বললেন প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক অভীক সরকার

‘মি টু’ মুভমেন্টে তোলপাড় গোটা দেশ। বিভিন্ন পেশায় বিখ্যাত একের পর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে মহিলাদের যৌন হেনস্থা করার এবং তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণের। একাধিক মহিলার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রাক্তন সাংবাদিক এবং সম্পাদক এম জে আকবর। আকবরের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলার অভিযোগ সামনে আসার পর ‘মি টু’ মুভমেন্টের আঁচ এসে পড়েছে এরাজ্যেও। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন চিফ রিপোর্টার দেবদূত ঘোষঠাকুর (যিনি অবসরগ্রহণের পর এখনও আনন্দবাজার পত্রিকায় কর্মরত) এবং প্রাক্তন জেলা ডেস্কের প্রধান সঞ্জয় শিকদারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে thebengalstory.com এ লিখেছেন এই পত্রিকারই প্রাক্তন দুই মহিলা সাংবাদিক সাবেরী গুপ্ত এবং পল্লবী মজুমদার। যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানোর পর দুজনেই আনন্দবাজার পত্রিকা ছাড়েন।
—————————–
——————————
সাবেরী গুপ্ত এবং পল্লবী মজুমদার আনন্দবাজার পত্রিকায় তাঁদের অভিজ্ঞতা লেখার পর আমরা  thebengalstory.com এর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত দেবদূত ঘোষঠাকুর এবং সঞ্জয় শিকদারের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করি। ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন’ বলে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন একমাত্র দেবদূত ঘোষঠাকুর। কিন্তু সঞ্জয় শিকদার কিংবা তৎকালীন নিউজ এডিটার হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় (পল্লবী মজুমদার তাঁর লেখায় হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেছিলেন) কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। আমরা আনন্দবাজার পত্রিকার এইচ আর ডিপার্টমেন্টের প্রধান সুমন ব্যানার্জির প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য তাঁকে ই-মেল করি। তিনিও কোনও জবাব দেননি।
——————————————-
——————————————
শনিবার সকালে thebengalstory.com এর পক্ষ থেকে আমরা ফোন করি আনন্দবাজার পত্রিকার তৎকালীন প্রধান সম্পাদক অভীক সরকারকে। পল্লবী মজুমদার নিজের লেখায় হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নাম না করে আনন্দবাজার পত্রিকার তৎকালীন প্রধান সম্পাদকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। সেই কারণেই গোটা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য আমরা যোগাযোগ করি অভীক সরকারের সঙ্গে। পুরো বিষয়টি শুনে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক অভীক সরকারের জবাব, ‘আই ডু নট স্পিক টু দ্য মিডিয়া (আমি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলি না)।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন দুই মহিলা সাংবাদিক যেভাবে অফিসের একাধিক বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার এবং অভব্য আচরণের অভিযোগ নিজেরাই লিখেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মনে করেছিলাম, তৎকালীন প্রধান সম্পাদক অভীক সরকারের সঙ্গে কথা উচিত, তাঁর প্রতিক্রিয়া নেওয়া উচিত। কারণ, সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের খবরের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। কিন্তু তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন না, প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক একথা জানানোর পরও, আমরা অপেক্ষা করছি আনন্দবাজার পত্রিকার পক্ষ থেকে কোনও সরকারি (অফিশিয়াল) প্রতিক্রিয়ার জন্য। যে মুহূর্তে আনন্দবাজার পত্রিকার পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা প্রকাশ করব।

Comments are closed.