হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের, চলতে হবে এদেশের আইন মেনে

দেশজুড়ে বেড়ে চলা গণপিটুনি ও গুজব ছড়ানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র আগেই বার্তা পাঠিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপের মতো অনলাইন মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে এই ধরনের গুজবমূলক বার্তা ও ছবি বা ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, তাই তা রোখার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এবার হোয়াটস অ্যাপের সিইও-র সঙ্গে বৈঠকে এবিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হল ভারতের তরফে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে হোয়াটসঅ্যাপের সিইও ক্রিস ড্যানিয়েলসের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় ভারতের অবস্থান হোয়াটসঅ্যাপ সিইওকে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী। হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে প্রযুক্তি ও তথ্য সরবরাহ, শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রশংসাসূচক কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তাকে অভিনন্দন জানিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, ভারতে কাজ করতে গেলে এদেশের আইন মেনেই চলতে হবে। ভারতের কোনও প্রয়োজনে, সমস্যায় বা কেন্দ্র কোনও তথ্য জানতে চাইলে মার্কিন আইনের দোহাই দিলে চলবে না। ভারতের তরফে আরও বলা হয়েছে, এদেশে একজন গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে। যেহেতু দেশের ডিজিটাল তথ্য আদানপ্রদানে হোয়াটসঅ্যাপ এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তাই এই দেশে তাদের কর্পোরেট অবস্থান তৈরি করতে হবে।
সম্প্রতি কয়েক মাসে দেশের একাধিক রাজ্যে নানান গুজবকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে মৃত্যুর বহু ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে উত্তেজনামূলক ছবি, বার্তা বা ভিডিও ছড়িয়েছে বহু মানুষের মধ্যে। বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একাধিক রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখতে হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছিল কেন্দ্র।

Comments are closed.