পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গনের ঘটনায় কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে সিধুর পাশে ইমরান, সুর চড়াচ্ছে বিজেপি

পাক সেনাপ্রধানকে নভজ্যোত সিংহ সিধুর আলিঙ্গন নিয়ে চলতি বিতর্কের মাঝেই তাঁর পাশে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার একটি ট্যুইট বার্তায় ইমরান জানিয়েছেন, ‘শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার জন্য সিধুকে ধন্যবাদ। শান্তির দূত হিসাবে তিনি এসেছিলেন, পাকিস্তানের মানুষও তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।’ ইমরানের মতে, যাঁরা সিধুর বিরোধিতা করছেন, তাঁরা উপমহাদেশে শান্তি প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছেন। ইমরান আরও লিখেছেন, ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে ভারত-পাকিস্তানের উচিত আলোচনায় বসে কাশ্মীরসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা।
তবে এই ইস্যুতে যে কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে যে ছেড়ে কথা বলা হবে না তা আবারও পরিষ্কার করে দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন, কংগ্রেস কি সমান্তরাল সরকার চালাতে চাইছে? এর জবাব দিতে হবে রাহুল গান্ধীকে। পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষ, কংগ্রেসের কাছে ভারতের সেনাপ্রধান ‘রাস্তার গুণ্ডা’ আর পাক সেনাপ্রধান ‘সোনার টুকরো ছেলে’। যদিও আজ সিধু আবারও জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েই পাকিস্তান গিয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রী সুসমা স্বরাজ নিজে তাঁকে যাওয়ার অনুমতির কথা জানিয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর লাহোর বাস যাত্রা ও নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রসঙ্গও টেনেছেন সিধু। যদিও কংগ্রেসের অন্দরেই এই নিয়ে ভিন্ন মত আছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ বাদল প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, তিনি সিধুর এহেন আচরণে খুশি নন। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, সিধু ব্যক্তিগতভাবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, সরকারের বা কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে নয়।
পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে পাঞ্জাবের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় নভজ্যোত সিংহ সিধুর আলিঙ্গনের বিতর্ক কিন্তু এতেও থামতে চাইছে না। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে বিজেপি ও পঞ্জাবের বিরোধী দল শিরোমণি আকালি দল। সিধু এবং কংগ্রেসের মুণ্ডপাত করে বিরোধীদের তরফে তাঁর ইস্তফা চাওয়া হয়েছে। এবার এক পা এগিয়ে এই ঘটনার জন্য সিধুর শিরোচ্ছেদের নির্দেশ দিলেন বজরং দলের এক নেতা। একটি সর্বভারতীয় নিউজ পোর্টালের দাবি অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হওয়া ওই ভিডিওতে নাকি বজরং দলের আগ্রা জেলার সভাপতি বলেছেন, এই কাজের যে সিধুর মাথা কেটে আনতে পারবে তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। বজরং দলের নেতা আরও বলেছেন, সিধুকে আগ্রায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সিধু সেখানে এলে তাঁকে জুতো নিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি পঞ্জাবের বিধায়ক পদ থেকে সিধুর অপসারণের দাবিও তুলেছেন তিনি।

Comments are closed.