সাংসদ থাকছেন, রাজনীতি ছাড়ছেন; বাবুলের ‘ভোলবদলে’ তীব্র কটাক্ষ কুণালের

সাংসদ থাকছেন অথচ রাজনীতিতে আর থাকছেন না। বাবুল সুপ্রিয়র এই সিদ্ধান্তকে ফের একবার তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

সাংসদ পদ না ছাড়ার নেপথ্যে প্রধান কারণ হিসেবে বাবুল জানান, তিনি এই মুহূর্তে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলে আসানসোলের সাংসদের জন্য উপনির্বাচন করাতে হবে। যা খরচ সাপেক্ষ। তিনি চান না তাঁর জন্য সরকারের এই অতিরিক্ত খরচ হোক।

আর বাবুলের এই যুক্তির জন্যই তাঁকে আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার তাঁর ট্যুইটে আসানসোলের সাংসদকে মেনশন করে কল্যাণ প্রশ্ন করেন, উপনির্বাচনের খরচ নিয়ে চিন্তিত হলে, MP হয়ে বিধানসভায় দাঁড়ালেন কেন? সেই সঙ্গে কুণালের কটাক্ষ, খরচ নিয়ে ভাবলে বিমানে ইকনমি ক্লাস ব্যবহার করুন। বাবুল সুপ্রিয়র বাংলো ছাড়া প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, যেহেতু বাবুল এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নন তাই বাংলো এমনিতেই ছাড়তে হবে। এরমধ্যে কোনও স্বার্থ ত্যাগ নেই।

এমনকি এই গোটা অধ্যায় টাকে এদিন পুনরায় ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেন কুণাল। তাঁর কথায়, নাটক ধরা পড়েছে তাই এখন মুখ রক্ষার জন্য এসব করছেন আসানসোলের সাংসদ।

উল্লেখ্য, শনিবার বাবুল একটি ফেসবুক পোস্ট করে রাজনীতিতে থেকে তাঁর ‘আলবিদা’ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। পোস্টের জেরে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে কটাক্ষ করলেও বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত তৎপর হন বাবুলের চলে যাওয়া রুখতে। শনিবার মাঝ রাতেই বাবুলের সঙ্গে কথা বলেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। অমিত শাহের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রীও ফোন করেন বাবুলকে।

সোমবার ফের একবার জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেন বাবুল। তাঁর বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসেই নিজের অবস্থান বদলের কথা জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানান, রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত তিনি পরিবর্তন করেননি। তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শে এবং আসানসোলের মানুষের জন্য তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না।

Comments are closed.