পরীক্ষা কম হচ্ছে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে জানাল নবান্ন

পরীক্ষা কম হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজ্যে আজ পর্যন্ত ৪,৬৩০ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শনিবার নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যে এখন দিনে ৪০০ এর বেশি টেস্ট হচ্ছে। পাশাপাশি মালদা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরি চালু হয়ে যাচ্ছে। ফলে আরও বেশি টেস্টের আশা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এরপরই মুখ্যসচিব পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, রাজ্যের ৬৬ টি কোভিড হাসপাতালে মোট ৭৯৬৯ টি বেড রেডি অবস্থায় আছে। এছাড়াও অন্যান্য হাসপাতাল মিলিয়ে রাজ্যে এই মুহূর্তে ৮ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার পরিকাঠামো সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে আছে। রাজীবা সিনহা বলেন, রাজ্যে মোট দেড় হাজার ভেন্টিলেটর আছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত তার সামান্যই কাজে লেগেছে।

মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, হাওড়ায় ৫৮০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারমধ্যে ৬২ জনের নমুনা পজিটিভ এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ থেকেও ৩০ টি নমুনার মধ্যে একজনের প্রথমে পজিটিভ আসে। কিন্তু পরে সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।

রাজীবা সিনহা বলেন, রাজ্যের টেস্টিং ল্যাবগুলোতে ডবল শিফটে কাজ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে টেস্টের পরিমাণ আরও বাড়ানো যাবে। পাশাপাশি কিট এলেই রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে Rapid Testing বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে রাজ্যে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে মৃত্যুও। শনিবার বিকেলে নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহা জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৭৮। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭ জন।

হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে চলছে কড়া নজরদারি। এদিন মুখ্যসচিব ফের একবার রাজ্যবাসীকে লকডাউন মেনে চলতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, জরুরি পরিষেবা পেতে যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়, তার দিকে সতর্ক নজর রাখছে প্রশাসন। পাশাপাশি তাঁর আবেদন, শরীর খারাপ লাগলে বাড়িতে রাখবেন না। দয়া করে হাসপাতালে নিয়ে আসুন। আপনাকে সুস্থ করে তোলার সমস্ত পরিকাঠামো মজুত।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্নেহের পরশ প্রকল্পে একটি মোবাইল অ্যাপ এনেছে রাজ্য সরকার। মহারাষ্ট্র বা দিল্লিতে আটকে থাকা বাঙালি শ্রমিকদের এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তারপর রেজিস্ট্রেশন করলেই ১ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সোমবার টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।

Comments are closed.