দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১৫৫৩ জন, মৃত্যু ৫৪৩ জনের! দেশের প্রায় ১৭০ টি জেলা রেড জোনে, জানাল কেন্দ্র
একদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় সর্বোচ্চ বৃদ্ধি হল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ১,৫৫৩ জন, মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছল ৫৪৩ জনে। দেশে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৭ হাজার।
কেন্দ্র জানাচ্ছে, মোট ১৭ হাজার ২৬৫ আক্রান্তের মধ্যে ১৪ হাজার ৭১৫ টি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে, সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ জন।
দেশের বিভিন্ন জায়গাতেই লকডাউন নিষেধাজ্ঞা কিছুটা হালকা হয়েছে। এর মধ্যে কেরলের বাম সরকারকে চিঠি দিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। কেরলের কিছু কিছু জায়গায় খাবারের দোকান খোলা, যাতায়াতে ছাড় দেওয়ার অনুমতি দিয়ে কেন্দ্রের গাইডলাইন অমান্য করছে পিনারাই বিজয়ন সরকার, এমনই জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। অন্যদিকে, দিল্লি ও পঞ্জাব সরকার জানিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত কোনও ছাড় নয়, করোনা সংক্রমণ রোধে পুরোপুরি লকডাউন জারি থাকবে দুই রাজ্যে। তেলেঙ্গানার কেসিআর সরকার আবার ৭ মে পর্যন্ত লকডাউন টানবে বলে জানিয়েছে।
সোমবার থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার। কিন্তু এর মধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৫৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪৩ জনের।
করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ২০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২২৩ জনের। এর পরেই রয়েছে দিল্লি। সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০০৩ জন। এ ছাড়া গুজরাত (১৭৪৩), রাজস্থান (১৪৭৮), তামিলনাড়ু (১৪৭৭), মধ্যপ্রদেশ (১৪০৭), উত্তরপ্রদেশ (১০৮৪) এও করোনা সংক্রমণের গ্রাফ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন ঊর্ধ্বমুখী। তেলঙ্গানায় ৮৪৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশে (৬৪৬) জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
কেরলের ছবিটা বেশ উজ্জ্বল। ৪০২ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৭০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। জম্মু-কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ৩৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও নবান্ন জানিয়েছে, রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ১৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লক্ষ ৭ হাজার ৬০০, মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৩১২ জনের।