অসাধ্য-সাধন, প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে মাধ্যমিকে ৬২৫ পেয়ে নজির মহম্মদ আলমের

এক কথায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছে মুর্শিদাবাদের বৈদ্যনাথপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আলম। জন্মের পর থেকেই তাঁর দুই হাত, দুই পা দুর্বল। হাঁটাচলা প্রায় করতেই পারে না সে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬২৫ পেয়ে নজির গড়েছে আলম। তার কৃতিত্বে পরিবারের পাশপাশি খুশি স্কুল ও এলাকাবাসীও।

মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানা এলাকার গড্ডা গণপতি আদর্শ বিদ্যাপীঠের ছাত্র আলম। দু’টি হাত অত্যন্ত দুর্বল থাকায় ডান পা দিয়েই লেখালেখি করে আলম। সেভাবেই ছোট থেকে অভ্যস্ত। যদিও তার স্কুলের শিক্ষক জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাইটার নিয়েছিল। সাংবাদিকদের আলম জানিয়েছে, তার সবথেকে বেশি ভালোলাগে অঙ্ক। নাসায় মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে চায় আলম। সেই উদ্দেশ্যেই ভবিষ্যতে পড়াশোনা করবে সে।

জন্মের পরই আলম স্নায়ু রোগে আক্রান্ত হয়। বহু চেষ্টা করেও সে সেরে ওঠেনি। আলমের বাবা পেশায় মুদির ব্যবসায়। প্রতিবন্ধকতার পাশপাশি সংসারেও আর্থিক অনটন রয়েছে। এসবের মধ্যেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছে আলম। পরিবারের লোকজন জানায়, শারীরিক সমস্যা সত্ত্বেও ছোটো থেকেই আলম মেধাবী ছাত্র। আলমের মা বাবা জানান, ছেলে যত দূর পড়াশোনা করতে চায়, তাঁরা করবেন।

আলমের প্রাপ্ত নম্বর ৬২৫। যার মধ্যে বাংলায়- ৯১, ইংরেজিতে- ৮৬, অঙ্কে- ৯৮, ভৌতবিজ্ঞানে- ৯৪, জীবন বিজ্ঞানে- ৭৭ এবং ইতিহাস ও ভূগোলে যথাক্রমে ৮৪ ও ৯৫।

Comments are closed.