অগ্নিগর্ভ রাজধানী দিল্লি। মঙ্গলবার সিএএ বিরোধী এবং সিএএ সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত বেড়ে ১০। তারমধ্যে একজন পুলিশকর্মী। আহত শতাধিক। বাকি সকলেই সাধারণ মানুষ বলে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে সংবাদমাধ্যমও। হিংসা মোকাবিলায় সমস্ত পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
গত তিনদিন ধরে কার্যত আগুন জ্বলছে দিল্লিতে। মৌজপুর থেকে চাঁদবাগ, জাফরাবাদ থেকে ব্রহ্মপুরী, উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় সারাদিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে চলে। চলে যথেচ্ছ পাথরবৃষ্টি, গুলি, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় দোকান, পেট্রোল পাম্পে। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় অবাধে লুঠপাটও চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর পুলিশ বাহিনী। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। একাধিক জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু হিংসা কমার লক্ষণ নেই।
এদিকে দিল্লির পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাতে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির উপ রাজ্যপাল। বৈঠকে হিংসা থামাতে সরকারকে সমস্ত পদক্ষেপের আবেদন করেন কেজরিওয়াল। অমিত শাহ তাঁকে সমস্ত রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তবে দিল্লিতে এখনই সেনা নামানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দিল্লি পুলিশ এবং অতিরিক্ত আধা সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায় কেন্দ্র।
এদিকে বিজেপির যে নেতার উসকানিমূলক ভাষণের পরই পরিস্থিতির এমন অবনতি, সেই কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন বিজেপিরই সাংসদ গৌতম গম্ভীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও উসকানিমূলক ভাষণ দিতে বারণ করা হয়েছে।