আবার শীতলকুচি হবে! সিউড়ি থেকে ফের বললেন দিলীপ ঘোষ

রবিবার বীরভূমের সিউড়ি শহরে একটি জনসভা থেকে ফের শীতলকুচি ঘটতে পারে বলে ঘোষণা দিলীপ ঘোষের

শীতলকুচি নিয়ে ফের হুমকির সুর দিলীপ ঘোষের গলায়। বরাহনগরে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, শীতলকুচিতে দেখেছেন তো কী হয়েছে? বাড়াবাড়ি হলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে ! রাজ্য সভাপতির এহেন বিস্ফোরক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছিল বিরোধীরা।

তৃণমূল, কমিশনে দিলীপ ঘোষের নামে লিখিত অভিযোগ করে। যার জেরে বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রচারে ২৪ ঘন্টার জন্য নিষেধজ্ঞা জারি করে কমিশন। কিন্তু শাস্তি পেয়েও দমবার পাত্র নন তিনি।

রবিবার বীরভূমের সিউড়ি শহরে একটি জনসভা থেকে ফের শীতলকুচি ঘটতে পারে বলে ঘোষণা তাঁর। বেণীমাধব মোড়ের জনসভা থেকে প্রার্থী জগন্নাথ চ্যাটার্জিকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, বীরভূমে এবারে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। কারও হিম্মত নেই ভোট প্রভাবিত করতে পারে। তার পরেই বিজেপি সাংসদের হুংকার, ভোটে গণ্ডগোল হলে আবার শীতলকুচি হতে পারে।

পাশাপাশি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তাঁর সাবধানবানী, ভাববেন না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা খুব শান্তশিষ্ঠ, ঠান্ডা ঠান্ডা। দিলীপের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, জওয়ানদের বন্দুকের গুলি কিন্তু বেশ গরম।

এদিন, সিউড়ির পাশাপাশি, দুবরাজপুরের জনসভায়ও দিলীপ ঘোষের ভাষণে উঠে আসে শীতলকুচি প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যের মহিলারা ধর্ষিত হলে, মুখ্যমন্ত্রীর দুঃখ হয় না, অন্যদিকে শীতলকুচিতে যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক ছিনিয়ে নিতে আসে, বুথ লুঠ করতে আসে, তাঁরা গুলি খেয়ে মারা গেলে মুখ্যমন্ত্রী চোখের জল ফেলেন।

[আরও পড়ুন- ফের পুলিশকর্তা অপসারণ কমিশনের, সরানো হল ৩ পুলিশ অফিসারকে]

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল, রাজ্যের চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন চার গ্রামবাসী। কমিশনের দাবি, বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, বিনা প্ররোচনায় সেন্ট্রাল ফোর্স গণহত্যা করেছে।
গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।

শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহাদের প্রচারেও নিষাজ্ঞা জারি করে কমিশন। কিন্তু এত কিছুর পরেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি যে নিজের অবস্থান থেকে একটুও সরেননি, তা রবিবারে জনসভা থেকে তাঁর করা মন্তব্যে আর একবার স্পষ্ট।

Comments are closed.