ভেজাল স্যানিটাইজার বেচতে গিয়ে পুলিশের জালে ২, বাজেয়াপ্ত ১৪০০ লিটার নকল স্যানিটাইজার

খাস কলকাতার বুকে রমরমিয়ে চলছিল ভেজাল স্যানিটাইজারের ব্যবসা। বৃহস্পতিবার ১,৪০০ লিটার নকল স্যানিটাইজার সহ ২ জনকে হাতেনাতে পাকড়াও করল পুলিশ।

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর দুটি জিনিস মানুষের কাছে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এক হল মাস্ক আর অন্যটি স্যানিটাইজার। চাহিদা বুঝে এই দুটি পণ্যকে নিয়ে কালোবাজারি ও অসাধু ব্যবসাও শুরু হয়েছে। কলকাতা শহরেও রমরমিয়ে চলছে ভেজাল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবসা। বৃহস্পতিবার এমনই অবৈধ ও বেআইনি স্যানিটাইজার ব্যবসায়ীকে পাকড়াও করল পুলিশ।

বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানার এজরা স্ট্রিট এলাকায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি) ও লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার একটি দল। ২ নম্বর এজরা স্ট্রিটের রামচন্দ্র অ্যান্ড সন্স ও ৮ নম্বর এজরা স্ট্রিটের বাসা পারফিউমারি হাউজ নামে দুটি দোকানে হানা দিয়ে উদ্ধার করেন বিপুল পরিমাণ ভেজাল স্যানিটাইজার। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দোকানের স্যানিটাইজার তৈরি বা বিক্রির কোনও লাইসেন্স ছিল না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ২৭০ ও ৪২০ ধারা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ওই দোকান দুটির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুটি দোকান থেকে প্রায় ১৪০০ লিটার ভেজাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় রাজীব পাঞ্জাবি ও জিয়াউদ্দিন বাশা নামে দুই ব্যবসায়ীকে।

নকল স্যানিটাইজারের ব্যবসা কেবল এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে বেঙ্গালুরুতে বিপুল পরিমাণ ভুয়ো হ্যান্ড স্যানিটাইজার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইকোনমিক অফেন্স উইং বেঙ্গালুরু থেকে কমপক্ষে ৫৬ লক্ষ টাকার ভেজাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উদ্ধার করেছিল।

লালবাজার সূত্রে খবর, মাস্ক, স্যানিটাইজার, অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ করোনা আবহে প্রয়োজনীয় পণ্যের কালোবাজারি রুখতে এভাবেই আচমকা অভিযান জারি থাকবে।

Comments are closed.