Farmers’ Protest: সরাসরি নয়, ঘুরিয়ে কেন্দ্রকে সমর্থন সৌরভের। কীভাবে?

সবাই ট্যুইট করলেও সৌরভ একা কেন কেবল রিট্যুইট করলেন?

কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়ালেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। তবে সচিন, কোহলির মতো সরাসরি নয়।   

কেন্দ্রের বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমানায় আন্দোলন করছেন কৃষকরা। সম্প্রতি মার্কিন পপ তারকা রিহানা এবং পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ট্যুইট করেছিলেন। আন্তর্জাতিক তারকাদের কৃষক আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল ভালো ভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। রিহানা ও গ্রেটার ট্যুইটের কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রকৃত সত্য না জেনে কেউ কেউ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। 

এই বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পরই দেশের তাবড় সেলিব্রিটিরা লাইন দিয়ে ট্যুইট করতে শুরু করেন। তার বয়ানও মোটের ওপর এক। 

কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে রিহানা ও গ্রেটার ট্যুইটের বিরোধিতা করেন সচিন, কুম্বলের মত ক্রিকেট তারকারা। সচিন ট্যুইটে লেখেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস নয়। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কেউ দর্শক হতে পারেন, কিন্তু এ বিষয়ে তাঁদের মন্তব্য কাম্য নয়। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয়রাই। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও বার্তা দিয়েছেন। হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং #IndiaTogether, #IndiaAgainstPropaganda ট্যুইটে লেখেন শচীন।

শচীনের এই ট্যুইটটি রিট্যুইট করেন মহারাজ। অনেকটা একই বয়ানের অনিল কুম্বলের ট্যুইটও রিট্যুইট করেন সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু নিজে একটি বাক্যও লেখেননি।

কিছুদিন আগেই বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল জল্পনা দেখা দিয়েছিলো। সৌরভ এই খবর স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটিই করেননি। তারপর রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায় মহারাজকে। যা নতুন করে জল্পনা উস্কে দেয়। 

সাম্প্রতিক সময়ে অসুস্থ সৌরভের খোঁজ নিতে অমিত শাহ একাধিকবার ডোনা গাঙ্গুলিকে ফোন করেছেন। 

এসব কিছুর মধ্যেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে সতীর্থ শচীনের ট্যুইট রি-ট্যুইট করে সরাসরি না হলেও পরোক্ষে কেন্দ্রের পাঁশেই দাঁড়ালেন মহারাজ। কিন্তু কোহলি থেকে রাহানে, সচিন থেকে দ্রাবিড় সবাই যখন কেন্দ্রের অবস্থানের পাশে থাকার ঘোষণা করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তখন সৌরভ কেবলমাত্র সতীর্থদের ট্যুইট রিট্যুইট করছেন কেন? এর নেপথ্যে কী? সেটাই এখন বড়ো প্রশ্ন। 

Comments are closed.