এ বছর বন্যায় গোটা দেশে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষের, একে মহারাষ্ট্র, দুইয়ে বাংলা

দেশজুড়ে ২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে চলতি বছরে বন্যায়, নিখোঁজ হয়েছেন ৪৬ জন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, এ বছরের বন্যায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। মৃতের সংখ্যা ৩৯৯ জন। এরপরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় ২৭৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এ বছরের বন্যায়।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালের পর চলতি বছরের বর্ষায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২,১০০ জনের। আহতের সংখ্যা ৭৩৮ জন। তীব্র বৃষ্টি ও বন্যায় দেশজুড়ে ১ লক্ষ ৯ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ২ লক্ষ ৫ হাজার বাড়ি। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, প্রায় ১৪.১৪ লক্ষ হেক্টর শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বন্যায়। ৩০ হাজারেরও বেশি গবাদি পশু বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে।
এ বছরের বন্যায় রাজ্যভিত্তিক ক্ষতির নিরিখে প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রের ২২ টি জেলা ভয়ঙ্করভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। ৩৯৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৩৬৯ জন। ৭ লক্ষ ১৯ হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে ৩০৫ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন।
মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যজুড়ে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২৭৭ জন। আহত হন ৩৭ জন। ৪ জনের এখনও পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মহারাষ্ট্রের মতো এ রাজ্যেরও ২২ টি জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িছাড়া হয়ে ৪৩ হাজার ৪৩৩ জন মানুষ ২৮০ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন।
বিহারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৬৬ জন। বিহারের ২৮ টি জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ লক্ষ ৯৬ হাজার মানুষকে বাড়িছাড়া হয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয় বলে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে প্রকাশ। এছাড়া, কেরলে ১৮১ জন, গুজরাতে ১৬৯ জন, কর্ণাটকে ১০৬ জন এবং অসমে ৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই বন্যায়।

Comments are closed.