অটল পেনশন যোজনায় নাম নথিভুক্ত করুন, ১০০০, ৩০০০ এবং ৫০০০ টাকা স্থির পেনশন পান, জেনে নিন বিশদ

যদি আপনি কোনও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী হয়ে থাকেন, অর্থাৎ বাড়ির কাজের লোক, গাড়ির চালক এই ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকএন। তবে অবসর গ্রহণের পর তাঁদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রকল্প হল অটল পেনশন যোজনা।

২০১৫ সালে স্বাবলম্বন যোজনা NPS লাইট প্রকল্পের জায়গায় আনা হয়েছে এই ‘অটল পেনশন যোজনা’। এ ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৪০ বছরের যে কোনও ভারতীয় নাগরিক সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই প্রকল্পের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হল পেনশন রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA)। প্রকল্পটির উপভোক্তাদের মাসিক পেনশনের পরিমাণ ১ হাজার, ২ হাজার, ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

 

কিন্তু কীভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন? কী ভাবে খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট? 

প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, যাঁরা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগে এই অটল পেনশন যোজনায় যোগ দিয়েছিলেন, তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মোট জমা টাকার ৫০ শতাংশ বা বার্ষিক ১ হাজার টাকা পর্যন্ত যুক্ত করার কথা জানানো হয়েছে। তবে এই মাসিক কন্ট্রিবিউশন বা জমা টাকা নির্ভর করছে মাসিক পেনশনের ফিক্সড অ্যামাউন্টের উপর। এক্ষেত্রে বয়সের উপর নির্ভর করেই প্রিমিয়ামের গণনা হবে।

ধরুন যদি কেউ ১৮ বছর বয়সে নাম নথিভুক্ত করান, তা হলে মাসিক টাকার পরিমাণ হবে ৪২ টাকা। আর যদি কেউ ৪০ বছর বয়সে নাম নথিভুক্ত করান, তা হলে তাঁর মাসিক টাকা বেড়ে হবে ২৯১ টাকা। এগুলির পাশাপাশি বছরে একবার পেনশনের বরাদ্দ অর্থ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে APY গ্রাহকদের।

তবে, একবার নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলে তখন এই স্কিম ছেড়ে বেরোনো যাবে না। যদি স্কিমের উপভোক্তার মৃত্যু হয়, তা হলে ৬০ বছর পর্যন্ত সমান টাকার পেনশনের সুবিধা পাবেন তাঁর স্ত্রী।

 

কী ভাবে খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট?

দেশের সমস্ত পোস্ট অফিস ও জাতীয় স্তরের ব্যাঙ্কগুলিতে উপলব্ধ রয়েছে এই অটল পেনশন যোজনা। তবে এই পরিষেবার সুবিধা পাওয়ার জন্য কয়েকটি সাধারণ নিয়ম রয়েছে। এগুলি হল, আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। তাঁর আধার নম্বর ও বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অটল পেনশন যোজনা স্কিমে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য নিকটবর্তী ব্যাঙ্কের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়।

Comments are closed.