ব্রিটেনে ৩৮, প্যারিসে ৪২, জার্মানিতে ৪১, হল্যান্ডে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াল পারদ, তীব্র গরমের সঙ্গে লু, নাজেহাল ইউরোপ

মারাত্মক আকার নিচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব। রেকর্ড গরমে নাজেহাল জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডের মতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। বৃহস্পতিবারে এই মাসে দ্বিতীয়বার লু বইল ইউরোপে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে এখন থেকে প্রায়শই তীব্র দহন সহ্য করতে হবে ইউরোপকে।
বৃহস্পতিবার ছিল ইউরোপীয়দের কাছে একটা বিভীষাষিকাময় দিন। ইউরোপীয় দেশগুলির আবহাওয়া দফতর বলছে, জুলাই মাসে এমন গরম এর আগে কখনও অনুভূত হয়নি। কিছু কিছু দেশে বৃহস্পতিবারের গরম সর্বকালীন রেকর্ড করেছে। অস্বাভাবিক, অপ্রত্যাশিত গরমে রেল পরিবহণ ব্যাহত ব্রিটেনে। বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থায় অনভ্যস্ত ইউরোপীয়দের লাইন পড়েছে পাখার দোকানে। দিনের বেলা লু’য়ের দাপট থেকে বাঁচতে জনসাধারণকে বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এমন নাভিশ্বাস ওঠা গরম চলতে পারে আরও কয়েকদিন, পূর্বাভাস ইউরোপীয় আবহাওয়া দফতরগুলির।
বৃহস্পতিবার রেকর্ড গড়েছে ব্রিটেনের গরম। পারদ ছুঁয়েছিল ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জুলাই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানাচ্ছে সে দেশের আবহাওয়া দফতর। এর আগে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ .৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে বৃহস্পতিবারের গরম । একই অবস্থা দক্ষিণ নেদারল্যান্ড ও জার্মানিরও। ডাচ আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ নেদারল্যান্ডের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার জার্মানির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সেলসিয়াস স্কেলে ছিল ৪১.৫ ডিগ্রি, যা সর্বকালীন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্য দুপুরে প্যারিসের তাপমাত্রা পৌঁছোয় ৪২.৬ ডিগ্রিতে।
গরমে রেলপথ বেঁকে যাওয়ার ফলে ট্রেনের গতি কমছে ব্রিটেনে। বৃহস্পতিবার থেকে একের পর এক ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয় ব্রিটেন, ফ্রান্সে। রেল কর্তৃপক্ষ থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে, হয় কাকভোরে বেরিয়ে পড়ুন, না হলে যাত্রা বন্ধ রাখুন যাত্রীরা।
কিন্তু এমন গরমের কারণ কী? পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের সৌজন্যে এমন গরম এখন থেকে ঘনঘন পড়বে ইউরোপে। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ছে, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হচ্ছে। এর ফলে শিল্পোন্নত ইউরোপে বাড়ছে অস্বাভাবিক গরম।

Comments are closed.