দেশের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট কামিনী রায়কে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন গুগলের

১৫৫ তম জন্মবার্ষিকীতে ডুডলের মাধ্যমে দেশের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট কামিনী রায়কে শ্রদ্ধার জানাল গুগল। শনিবার গুগলের হোম পেজ খুললেই চোখে পড়ছে শাড়ি পরিহিত দেশের নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের প্রথম সারির সৈনিক বঙ্গ তনয়া কামিনী রায়ের ছবি। কিন্তু বাঙালি কি তাঁকে মনে রেখেছে?

১৮৬৪ সালের ১২ ই অক্টোবর অবিভক্ত বাংলার বাকেরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কামিনী রায়। ছোট থেকেই অঙ্কে উৎসাহী কামিনী রায় একইসঙ্গে বাংলায় কবিতা লেখা শুরু করেন। ২২ বছর বয়সে বেথুন কলেজ থেকে সাম্মানিক স্নাতক কামিনী রায়, দেশের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট। তারপর বেথুন কলেজেই শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। ১৮৮৯ সালে বেরোয় তাঁর প্রথম কবিতার বই আলো ও ছায়া।

ভারতীয় উপমহাদেশে নারীর অধিকার রক্ষায় কামিনী রায়ের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। ১৯২৩ সালে বরিশালে গিয়ে মহিলাদের লিখতে উৎসাহ দিচ্ছিলেন কামিনী রায়। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় একটি ছোট্ট বালিকার। পরবর্তীতে সেই বালিকা পরিচিতি পান সুফিয়া কামাল নামে। সুফিয়া কামাল বারবার তাঁর জীবনে কামিনী রায়ের ভূমিকার কথা বলে গিয়েছেন। গুগল জানাচ্ছে, ১৯২৬ সালে বাঙালি মহিলারা ভোটাধিকার পান, সেই আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন কামিনী রায়। সমাজ ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে জগত্তারিণী মেডেল প্রদান করে।

১৯৩৩ সালে মৃত্যু হয় বাঙালি নারী আন্দোলনের প্রথম সারির এই যোদ্ধার। তাঁর মূল কথাই ছিল, মেয়েরা কেন ঘরের চার দেওয়ালে বন্দি হয়ে থাকবে? কামিনী রায়ের ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকীতে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাল গুগল।

Comments are closed.