অপপ্রচারের জবাব দিতে সমস্ত সরকারি দফতরকে ফেসবুক-ট্যুইটারে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ নবান্নের, দিতে হবে উন্নয়নের খতিয়ান

করোনা পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক প্রচার প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলের  জায়গা নিয়েছে ভার্চুয়াল বৈঠক। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের প্রচার, অপপ্রচার, প্রশ্ন, কুৎসার জবাব দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকেই অস্ত্র করলেন মমতা ব্যানার্জি। বিরোধীদের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ করতে রাজ্যের প্রতিটি প্রশাসনিক দফতরকে ফেসবুক ও ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিল নবান্ন। দুটি অ্যাকাউন্টেই থাকবে সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান। সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ চলে গিয়েছে।

একইসঙ্গে শুরু হয়েছে মমতা সরকারের গত নবছরের জেলাভিত্তিক উন্নয়ন-তথ্য সংগ্রহের কাজ। জেলাশাসকদের রিপোর্ট পাঠানোর সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

করোনা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সক্রিয়। তাতে রাজ্যের দৈনিক কোভিড পরিস্থিতি, সংক্রমিত ও সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা ও অন্যান্য তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরা হচ্ছে।

এছাড়া ভার্চুয়াল জগতে দারুণ অ্যাক্টিভ মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়, কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ প্রশাসন।  একইভাবে রাজ্যের কৃষি, শিল্প, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, শ্রম, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, পুর ও নগরোন্নয়ন, ক্রীড়া-যুবকল্যাণ সহ রাজ্যের মোট ৫২ টি দফতরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট খুলতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। নির্দেশ মেনে দিন কয়েক আগেই মতো ফেসবুক ও ট্যুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছে রাজ্য খাদ্য দফতর। খুব তাড়াতাড়ি পঞ্চায়েত দফতরও সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলবে বলে খবর। এই কারণে জেলাশাসকদের কাছে উন্নয়ন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। গত ৩১ জুলাই প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত নবছরে জেলায় কত ভাগ মানুষ সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন, জয় জোহর পেনশন, তফসিলি বন্ধু পেনশন, মাটির সৃষ্টি যোজনা ইত্যাদি রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের সঠিক পরিসংখ্যান পাঠাতে হবে। তাছাড়া প্রতিটি দফতর কী কী কাজ করেছে, তারও উল্লেখ থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা ছেড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। তাতে মমতার সরকার সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তাই বিরোধীদের অপপ্রচার ও কুৎসার জবাব দিতে সরকারের প্রতিটি দফতরকে ফেসবুক ও  ট্যুইটারে নিজস্ব অ্যাকাউন্ট খুলতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মানুষের কাছে সঠিক সরকারি তথ্য তুলে দেওয়াই হবে এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির কাজ।

Comments are closed.