বিদেশি সংস্থার মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে নিজে অনলাইন ডেলিভারি সংস্থা খুলে বছরে ২৩ হাজার কোটি টাকার মুনাফা এই ব্যক্তির

বহুজাতিক সংস্থার মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে প্রথমে ডেলিভারি সংস্থায় চাকরি। আর এরপরেই নিজেই অনলাইনে ব্যবসা করে বছরে ২৩ হাজার কোটি টাকার মুনাফা এই ব্যক্তির।

কে এই ব্যক্তি। প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। ইনি হলেন অলবিন্দ্র। তাঁর সংস্থার নাম গ্রোফার্স। যা এখন পরিচিত ব্লিঙ্কিট নামে। মুদিখানার জিনিসপত্র ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয় অলবিন্দ্রর সংস্থা। গ্রোফার্স শুরু করার আগে আমেরিকার দুটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন অলবিন্দ্র। এই চাকরি ছেড়ে দিয়ে দেশে ফিরে একটি অনলাইন খাবার পৌঁছে দেওয়ার সংস্থার উঁচু পদে কাজ করছিলেন। খাবার ডেলিভারির সময় কী সমস্যা হয় তা খেয়াল রাখতেন অলবিন্দ্র।

অ্যাপ-নির্ভর খাবার সরবরাহকারী সংস্থা জোম্যাটোয় প্রায় তিন বছর কাজ করেছিলেন অলবিন্দ্র। কাজ করতে করতেই নিজের স্টার্ট-আপ সংস্থার খোলার কথা চিন্তা করতেন তিনি। পেয়ে যান সহকর্মী সৌরভকে।

২০১৩ সালে ওয়াননাম্বার নামে একটি ডেলিভারি সংস্থা খোলেন অলবিন্দ্র এবং সৌরভ। মুদি দোকানের জিনিসপত্র নিয়ে তা আশেপাশের জায়গায় পৌঁছে দিত ওয়াননাম্বার। ওয়াননাম্বার শুরুর পর খেয়াল করেছিলেন, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্ডার দেওয়া হয় মুদিখানার মালপত্র এবং ওষুধ। তবে সে সব অর্ডার ঠিকঠাক দেওয়া হলেও গ্রাহক পরিষেবা নিয়ে এ দেশে অনেক সমস্যা রয়েছে। ওয়াননম্বর থেকে চালু হয় গোফার্সের। হরিয়ানার গুরুগ্রামে হয় সংস্থার সদর দফতর। দিল্লি, গুরুগ্রাম এবং বেঙ্গালুরুতে একটি ৬০ হাজার বর্গফুটের গুদাম নেন অলবিন্দ্র। সেখান থেকেই মালপত্র গ্রাহকদের ঘরে পৌঁছে যেত। গ্রোফার্স শুরু মাত্র তিন বছরের মধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখেন অলবিন্দ্র।
গোফার্স শুরুর ৯ বছরের মধ্যে সাফল্যের মুখ দেখেন অলবিন্দ্র।

২০২০ সালের অর্থবর্ষে অলবিন্দ্রের মুনাফার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। ওই অর্থবর্ষে অলবিন্দ্রের নিজের নিট আয় ছিল ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা।

দিল্লি আইআইটি থেকে স্নাতক হওয়ার পর আমেরিকায় যান অলবিন্দ্র। সেই দেশে দুটি বহুজাতিক সংস্থায় মোটা মাইনের চাকরি পেয়ে যান অলবিন্দ্র। চাকরি করার সময় তাঁর মাথায় আসে নিজস্ব ব্যবসা খোলার কথা। আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। কিন্তু গত বছর নতুন লোগো এবং নাম নিয়ে বাজারে আসে গ্রোফার্স। নাম হয় ব্লিঙ্কিট। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি শাকসব্জি, মোবাইল, বইপত্র, প্রসাধনী, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী পৌঁছে দেয় ব্লিঙ্কিট। দেশের ৩০টিরও বেশি শহরে পৌঁছে যায় এইসব জিনিসপত্র।

Comments are closed.