মঙ্গলবার বিকেলে শহরে বজ্র-বিদ্যুৎসহ ভারি বৃষ্টি। আগামী দু’তিন দিনও বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাঁকুড়ায় বাজ পড়ে মৃত ৩।
নিম্নচাপে ভর করে সোমবারই বর্ষা ঢুকেছে রাজ্যে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে আগেই পূর্বাভাষ ছিল, নিম্নচাপ ও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর হাত ধরে আগামী কয়েক দিন ভারি বৃষ্টি হবে কলকাতাসহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে। আর এই দুইয়ের জেরে মঙ্গলবার দিনভর কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বর্জ্র-বিদ্যুৎসহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে এদিন বিকেলের পর কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টি হয়। দিল্লির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আরও বেশ কিছু অংশে প্রবেশ করেছে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের হিমালয় পাদদেশ সংলগ্ন অংশেও এদিন ভারি বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা, সেবকের মতো এলাকায় এদিন ১০০ মিমি’রও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরাজ্যের পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাষ করা হয়েছে।
এদিন দুপুরের পর কলকাতার আকাশ কালো করে বজ্র-বিদ্যুৎসহ ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যায় শহরের বেশ কিছু জায়গায়। বিকেলের অফিস ফেরতা সময়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এদিন বর্জ্র-বিদ্যুৎসহ ভারি বৃষ্টি হয়েছে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমানসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বাঁকুড়ায় বাজ পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এদিন বৃষ্টির সঙ্গে ৩৫ থেকে ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে। আগামী চারদিন উত্তরবঙ্গের হিমালয় পাদদেশ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের পাশাপাশি এদিন ভারি থেকে থেকে অতি ভারি হয়েছে অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ত্রিপুরার মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে এই রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও এলাকা বিশেষে বিক্ষিপ্তভাবে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাষ রয়েছে।
রাজ্যের, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এদিনের ভারি বৃষ্টির পরই নবান্নর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বর্ষার শুরুতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার সেচ দফতরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রশাসনিক কর্তারা। যে কোনও বিপর্যয় মোকাবিলায় খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম।