মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা রাজ্যপালের চিঠি কেন ট্যুইটারে? চিঠির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নবান্ন

তুঙ্গে নবান্ন রাজভবন সংঘাত। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা রাজ্যপালের চিঠি ট্যুইটারে প্রকাশ করে দেওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিল নবান্ন। মঙ্গলবার ট্যুইট করে রাজ্যপালের বক্তব্যের প্রতিবাদ করা হয় স্বরাষ্ট্র দফতরের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে।

রাজ্যপাল ভিত্তিহীন অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন। এই আচরণ সমস্ত প্রশাসনিক রীতি লঙ্ঘন করেছে। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগের পবিত্রতা ধাক্কা খেয়েছে।

ট্যুইটে লেখা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান যেভাবে যোগাযোগ করতে চেয়েছেন তা সমস্ত প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি ভঙ্গ করেছে। চিঠিটি শুধুমাত্র মূখ্যমন্ত্রীকে লেখা হলেও তা ট্যুইটে করে সবার সামনে প্রকাশ করা হল। এ ধরনের আচরণের জেরে চিঠির বিষয়বস্তুর গুরুত্বও যেন কোথাও কমে যায়।

নবান্নের আরও অভিযোগ, ক্রমাগত একটি বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের জনসমক্ষে মন্তব্য করা নিয়ে রাজ্য সরকার বিস্মিত। সেই সঙ্গে চিঠিতে বর্ণিত ঘটনাবলির সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজভবনের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে রাজ্যয়ের স্বরাষ্ট্র দফতর।

ওই ট্যুইটে রাজ্য সরকার দাবি করেছে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা যখন ঘটেছে তখন নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল প্রশাসন। রাজ্য সরকার দায়িত্ব নিয়েই কঠোর হতে সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে। রাজ্যের পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

উল্লেখ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করার পরের দিন মঙ্গলবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্যপাল। যাওয়ার আগে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে একটি কড়া চিঠি লিখে যান ধনখড়। সেই চিঠি ট্যুইট করা নিয়েই নতুন বিতর্কে জড়িয়ে গেল রাজভবন, বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.