নির্বাচন পর্বে নগদ-মদ-মাদক-অলঙ্কার মিলিয়ে দেশে বাজেয়াপ্ত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, শীর্ষে তামিলনাড়ু, দুইয়ে গুজরাত

টাকা দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে বারবারই। ভোটের আগে থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক কালো টাকার রমরমা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এ রাজ্যের প্রচারে নিয়ম করে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করছেন, প্রচুর টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের পেশ করা তথ্য থেকে জানা গেল, নগদ এবং অলঙ্কার, মদ-মাদক মিলে এবার গোটা দেশেই নজিরবিহীন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যদিও তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
১০ ই মার্চ ঘোষণা হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের। তারপর থেকে এক এক করে কেটে গিয়েছে ছয় দফার ভোট। বাকি মাত্র এক দফা। এই দু’মাস সময়ের মধ্যে সারা দেশ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে নগদ টাকা, মদ-মাদক এবং অলঙ্কার মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি। যা ছাপিয়ে গেছে সর্বকালীন রেকর্ড। সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে তামিলনাড়ুতে।
নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, মার্চের ১১ তারিখ থেকে মে মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত, সারা দেশ থেকে মোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩৪১৫.৬৫ কোটি টাকার সম্পত্তি। তার মধ্যে নগদ উদ্ধার হয়েছে ৮২৭.২৩ কোটি টাকা। নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে ১২৬১.৩৪ কোটি টাকার এবং ৯৮৪.৮৮ কোটি টাকার অলঙ্কার উদ্ধার হয়েছে।
সারা দেশের মধ্যে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায় সবচেয়ে উপরে দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু। তামিলনাড়ুতে মোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৯৪৯.৬৬ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি। তার মধ্যে রয়েছে ৩০৭৩ কেজি অলঙ্কার। যার বাজার মূল্য ৭০৯.৫৪ কোটি টাকা। উদ্ধার হয়েছে ২২৭.৬৯ কোটি নগদ টাকা। তামিলনাড়ুর ঠিক পিছনেই রয়েছে গুজরাত। সেখানে মোট ৫৫১.৮৭ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১৩০.৭৩ কেজি নিষিদ্ধ মাদক। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫২৪.৩৪ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৩.৭৮ কোটি টাকার মদ। গুজরাতে মদ নিষিদ্ধ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে মোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪২৫.৬৫ কোটি টাকার সম্পত্তি, যার মধ্যে ৩৭৪.২৯ কোটি টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার করেছে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট ১০৮.০৫ কোটি টাকার সম্পত্তি। তার মধ্যে ৬২.৫৪ কোটি টাকা নগদ।
এখনও বাকি আরও এক দফার ভোট। সাত দফা শেষে হিসেব কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে চিন্তায় কমিশনের কর্তারা।

Comments are closed.