কগনিজেন্টের পর ইনফোসিস, আগামী কয়েক মাসে বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে

কগনিজেন্টের মতো এবার তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস-ও ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ২,২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করছে ইনফোসিস। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জব লেভেল ব্যান্ড (জেএল) ৬-এর ১০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২ হাজার ২০০ জন পদস্থ কর্মীকে ছাঁটাই করবে ইনফোসিস। সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজারের মতো অনেক উচ্চপদস্থ কর্মীকে ইনফোসিস ছাড়তে হবে বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ।
বর্তমানে ইনফোসিসের জেএল ৬, জেএল ৭ এবং জেএল ৮ ব্যান্ডের মোট কর্মী সংখ্যা ৩০ হাজার ৯২ জন। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, অদূর ভবিষ্যতে জেএল ৩ ব্যান্ড ও তারও অধস্তন কর্মীদের মধ্যে অন্তত পাঁচ শতাংশ কর্মীর চাকরিতে কোপ পড়তে পারে। সব মিলিয়ে আরও ৪ থেকে ১০ হাজার অধস্তন কর্মীর কাজ যাবে বলে খবর। ইনফোসিসের বর্তমান কর্মীসংখ্যা প্রায় দুই লক্ষ।
সংস্থার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদমর্যাদার ৯৭১ জনের মধ্যে ৫০ জনের চাকরি যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে এত সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের রেকর্ড নেই ইনফোসিসের। আগে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হত। কিন্তু এবার ব্যাপারটা তেমন নয়। সংস্থার সিইও ফিল ফার্শট জানান, এখন সংস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। গ্রাহকদের ভালো পরিষেবা দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ ও উচ্চ প্রশিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজন। পাশাপাশি, প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ায় এখন অনেক কম কর্মীতেই কাজ হয়ে যায়। এই কারণেই কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ভাবতে হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই আর এক বিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কগনিজেন্ট তাদের ৭ হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে বলে জানায়। সেই সঙ্গে তাদের কনটেন্ট মডারেশন বিজনেসের পরিবর্তনের জন্য আরও ৬ হাজার কর্মীর কাজে কোপ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই কর্মী ছাঁটাই রুখতে আন্দোলনে নামছে সিআইটিউ প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া আইটি অ্যান্ড আইটিইএস এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। সল্ট লেকে সেক্টর ফাইভের বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি অফিসে লিফলেট বিলি, পোস্টারিং শুরু করেছে ওই সংগঠন। ইউনিয়নের অভিযোগ, সংস্থার সিইও নিজে কর্মীদের মেল করে ছাঁটাইয়ের কথা জানাচ্ছেন। ওই লিফলেটে ইউনিয়ন তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সুত্রের খবর, আরও কয়েকটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায়ও কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা চলছে। সেই সব সংস্থার কর্মীরাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

Comments are closed.