মুকেশ আম্বানীকে আয়কর নোটিস, জেনেভায় ১৪ টি অ্যাকাউন্টে ৬০১ মিলিয়ন ডলারের তথ্য গোপনের অভিযোগ

মুকেশ আম্বানীকে আয়কর নোটিস। বিদেশ থেকে আয় ও বিদেশে থাকা সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন, এই অভিযোগে আম্বানী পরিবারকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ। বিভিন্ন দেশের এজেন্সি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুকেশ আম্বানীর স্ত্রী নীতা আম্বানী ও তাঁদের ৩ সন্তানকে ২০১৫ সালের ব্ল্যাক মানি অ্যাক্টের ভিত্তিতে নোটিস পাঠানো হয় বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে খবর। ২৮ শে মার্চ আয়কর নোটিস দেওয়া হয় এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তিকে। ২০১১ সাল থেকে প্রায় ৭০০ ভারতীয় শিল্পপতি ও সংস্থার জেনেভার এইচএসবিসি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য হাতে এসেছে সরকারের। এই প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে আয়কর বিভাগ। সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি প্রতিবেদনে দাবি করে, জেনেভার এইচএসবিসির শাখায় রিলায়েন্স গ্রুপের নামে একাধিক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬০১ মিলিয়ন ডলার রয়েছে।
২০১৯ সালের ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি আয়কর বিভাগের তদন্ত রিপোর্ট এবং গত ২৮ শে মার্চ মুকেশ আম্বানীর পরিবারকে পাঠানো নোটিসে দাবি করা হয়েছে, এইচএসবিসির যে ১৪ টি অ্যাকাউন্টের অস্তিত্বের কথা জানা গিয়েছে, তাদের থেকে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হল আম্বানী পরিবার। যদিও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই অভিযোগ ও নোটিস নিয়ে প্রশ্ন করায় রিলায়েন্সের এক মুখপাত্র যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। এমন কোনও নোটিস পাওয়ার বিষয় উড়িয়ে দেন তাঁরা।
কিন্তু দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি, মার্চ মাসেই বিদেশি আয় ও সম্পত্তি গোপন করার অভিযোগে ব্ল্যাক মানি অ্যাক্ট, ২০১৫ এর ভিত্তিতে নোটিস পাঠানো হয়েছিল মুকেশ আম্বানীর পরিবারকে। মুম্বইয়ের আয়কর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনারের অফিস থেকে এই নোটিস পাঠানো হয়। আম্বানী পরিবারের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ই নভেম্বর বিদেশে ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টের বিষয়ে বিশদ তথ্য দিতে না পারার অভিযোগও আনা হয়েছিল। পাশাপাশি, মুম্বইয়ের রিলায়েন্সের ঠিকানায় থাকা হরিনারায়ণ এন্টারপ্রাইজ নামে আরও একটি সংস্থা বিদেশে গচ্ছিত সম্পত্তির কথা লুকিয়েছে বলে অভিযোগ আয়কর বিভাগের।

Comments are closed.