হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে গ্লাভস বানাচ্ছে জেআইএস গোষ্ঠীর বিভিন্ন কলেজ, সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে

পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। বাদ যায়নি ভারতও। সর্বশেষ পাওয়া খব অনুযায়ী এই মারণ করোনা ভাইরাসে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে তাঁদের চিকিৎসা। ২১ দিনের লোকডাউন চলছে গোটা দেশে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় নেমে পড়েছে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার। যে যেরকম পারছেন এই করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় একে অন্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন।
এই পরিস্থিতিতে বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে মুখের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গ্লাভসের। আর এই বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আসরে নেমেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিজেরদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে নিজেদের ল্যাবে তৈরি করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গ্লাভস। এরকমই একটি নিদর্শন রাখল জেআইএস গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস-এর বিভিন্ন কলেজ। জেআইএস গ্রুপের কলেজগুলিতে তৈরি করা হচ্ছে এই অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড সানিটাইজার। যা কলেজ কর্তৃপক্ষ মানবতার স্বার্থে সাধারণ মানুষের কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে দিয়েছেন।

এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে জেআইএস গ্রুপের গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিকাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও জেআইএস ইউনিভার্সিটি। নিজেদের রসায়ন বিভাগের ল্যাবরেটরিতে তাঁরা তৈরি করে ফেলেছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যার মধ্যে রয়েছে ৬০-৬৫ শতাংশ অ্যালকোহল। নাম রাখা হয়েছে ‘সেফ টাচ’। এই সমস্ত হ্যান্ড স্যানিটিজার তৈরি হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর তৈরি করা গাইডলাইন মেনে। এর সাথে রয়েছে এলোভেরা ও নিমের সংমিশ্রণ। যা এই স্যানিটাইজারকে করে তুলেছে আরও বেশি কার্যকারী। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
এছাড়াও চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার ও নার্সদের জন্য নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে তৈরি হয়েছে স্যানিটাইজড গ্লাভস। এই গ্লাভসে রয়েছে তিনটি স্তর। মাঝের স্তরে রয়েছে অ্যালকোহল বেসড স্যানিটারি জেল। যার ফলে ভাইরাসের সংস্পর্শে এলেও চামড়া পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সুরক্ষিত থাকেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই গ্লাভস আরও বেশি সংখ্যক তৈরি করার জন্য যে উপকরণগুলি দরকার তার জন্য চাওয়া হয়েছে সরকারি অনুমোদন। সেই উপকরণগুলি হাতে চলে এলেই আরও বেশি করে এই গ্লাভস তৈরি করা যাবে বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। যা তুলে দেওয়া হবে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে। এর ফলে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবেন তাঁরা।

 

Comments are closed.