বন্ধুকে কথা দিয়েছিলেন, রেকর্ড সময়ে দৌড় ও জাগলিং-এ গিনেস বুকে নাম লেখালেন ঈশ্বর 

একটি টেবিল টেনিস ব্যাট এবং তার ওপর বল নিয়ে জাগলিং করাটা অতি সাধারণ একটি ব্যাপার। অনেকেই আমরা খেলার ছলে তা করে থাকি। কিন্তু ওই অবস্থায় যদি হাঁটতে হয় এবং সেটা যদি হয় ১ মাইল! ব্যাপারটা তাহলে কার্যত অসম্ভব। কিন্তু রেকর্ড সময়ে এমনই একটি আশ্চর্য কাজ করে গিনেস বুকে নাম তুলেছেন কর্ণাটকের যুবক ঈশ্বর এন। টেবিল টেনিস বল নিয়ে জাগলিং করতে করতে এক মাইল হেঁটেছেন ঈশ্বর, তাও মাত্র ৬ মিমিট ১৬.৫৩ সেকেন্ডে। বলা ভালো, জাগলিং করতে করতে হাঁটার জায়গায় দৌড়েছেন তিনি। 

কিন্তু চমকপ্রদ বিষয়, গিনেস বুকে নাম তোলাটাকে আদৌ গুরুত্ব দিতে রাজি নন ঈশ্বর। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ঈশ্বর। ছোটবেলা থেকেই টেবিল টেনিস খেলার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর কথায়, টেবিল টেনিসের সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগ। খেলার সূত্রেই বেঙ্গালুরুর যুবক সুস্মিত রাজেন্দ্র বরিগিদাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে যা বন্ধুতে গড়ায়। ২০১৯ সালে টেবিল টেনিস বল নিয়ে জাগলিং করে ঈশ্বরের মতোই গিনেস বুক রেকর্ড করেন রাজেন্দ্র। জাগলিং করতে করতে ১ মাইল হেঁটেছিলেন ৬ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে। কিন্তু ২০২০ সালে রাজেন্দ্রর ওই রেকর্ড ভেঙে দেন স্পেনের বাসিন্দা ক্রিস্টিয়ান রড্রিগেজ। তিনি একই কাজ করেন ৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। 

বন্ধুর এই রেকর্ড ভাঙা মেনে নিতে পারেননি ঈশ্বর। তখনই বন্ধু রাজেন্দ্রকে কথা দেন রড্রিগেজের রেকর্ড তিনি ভাঙবেন। কোমর বেঁধে নেমে পড়েন প্রস্তুতিতে। তারপরেই ১ মাইল পথ জাগলিং করেন ৬ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে। আর এই বন্ধুত্বের গল্প সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন অনেকে। 

তবে ঈশ্বর জানিয়েছেন, গিনেস বুকে নাম উঠলেও এটাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য নয়।  বরং নতুন করে নিজেকে প্রস্তুত করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্থরে খেলায় অংশগ্রহণ করতে চান তিনি। এখন সে লক্ষ্যেই দিন রাত ঘাম ঝরাচ্ছেন কর্ণাটকের তুমাকুরু শহরের সিদ্ধগঙ্গা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ঈশ্বর এন। 

Comments are closed.