কাঠুয়াকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

কাঠুয়ায় নির্যাতিতার পরিবারকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য জম্মু-কাশ্মীর সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার নিগৃহীতার পরিবারের তরফে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। পরিবারটির সদস্যদের পাশাপাশি তাঁদের আইনজীবীদেরও নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। বাধা সত্বেও পরিবারটির হয়ে মামলা লড়ায় প্রাণনাশের আশঙ্কা করে নিরাপত্তা চেয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী।

পাশাপাশি কাঠুয়া মামলার শুনানি জম্মু-কাশ্মীর থেকে চন্ডিগড়ে সরাতে চেয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতে আরও একটি আবেদন করেন নির্যাতিতার বাবা। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে, গত সপ্তাহে কাঠুয়া জেলা আদালতে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা ঘটনার চার্জশিট জমা দিতে গেলে জম্মু-কাশ্মীর বার অ্যাসোসিয়েশনের একদল আইনজীবীর যে বাধার মুখে পড়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। ওই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত আইনজীবীদের নাম ‘স্টেট বার রোল’ থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছে অনলাইন পিটিশনে আবেদন করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী অয়ন রায়। তার এই পিটিশনে ইতিমধ্যেই প্রায় তিন লক্ষ মানুষ সাক্ষর করেছেন।

জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ‘গ্রেটার কাশ্মীর’-এর খবর অনুযায়ী ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বিশাল রামকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে চেষ্টা করেছিলেন তাঁর বাবা সঞ্জী রাম। ছেলেকে বাঁচাতে ঘটনায় ধৃত নাবালককে তিনি চাপ দিয়েছিলেন তার নিজের কাঁধে সব অভিযোগের দায় নেওয়ার জন্য। যদিও ধৃত নাবালক সম্পর্কে বিশাল রামের ভাই। ঘটনার তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, প্রথমে ওই কিশোরীকে মন্দিরে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করতে চায়নি ওই নাবালক। পরে জেরায় ভেঙ্গে পড়ে সব ঘটনা জানায় সে।  

সোমবার থেকে কাঠুয়া জেলা আদালতে শুরু হয়েছে এই মামলার শুনানি। এদিন আট অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে, তারা বিচারকের সামনে নার্কো টেস্টের আর্জি জানায়।মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৮ এপ্রিল।  

Leave A Reply

Your email address will not be published.