চিনুন এই ভারতীয় চাণক্য-দের যাঁরা বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সুগম করলেন

সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। অবশেষে ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্টের সিংহাসনে বসেছেন জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাটিক বাইডেন হতে চলেছেন আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি। সেই সঙ্গে এই প্রথমবার USA পেতে চলেছে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি আবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ইতিহাসে কমলা হ্যারিস। এখন জোর শোনা যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসনে বেশ কয়েকজন ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন।

চিকিৎসক বিবেক মূর্তি: 

বাইডেন শিবির জয় নিশ্চিত করার পরই জানিয়ে দেয় তাদের প্রথম কাজ হলো করোনা মহামারীকে নিয়ন্ত্রণে আনা। কারণ এখনও অবধি মার্কিন মুলুকে করোনার প্রভাব কমেনি। বাইডেন এই কর্মকাণ্ডের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। আর সেই টাস্ক ফোর্সের সদস্য হতে চলেছেন প্রবাসী চিকিৎসক বিবেক মূর্তি। কেবল বাইডেন না, বারাক ওবামারও বেশ পছন্দের ছিলেন এই চিকিৎসক।

রাজ চেট্টি:

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা দলে স্থান পেতে চলেছেন আরেক প্রবাসী ভারতীয়ও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ রাজ চেট্টিও রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা দলে। কারণ এনার মতামতকে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন বাইডেন।

অমিত জানি:

ইনি আমেরিকার রাজনৈতিক প্রচারক। ভোট মেরুকরণে এনার পারদর্শিতার কথা সকলেরই জানা। বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পিছনে এনার বড় ভূমিকা ছিল। তবে মজার ব্যাপার হল, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একজন বড় সমর্থক।

সঞ্জীব জোশীপুরা:

সঞ্জীব জোশীপুরা ‘ইন্ডিয়ান ফর বাইডেন ন্যাশনাল কাউন্সিল’ এর আদলে গঠিত ‘সাইথ এশীয় ফর বাইডেন’ সংগঠনটির সভাপতি। এনার কাজ ছিল বাইডেন আর কমলা হ্যারিসের জন্য সর্বধর্ম সমন্বয়ে ভারতীরদের ভোট এক করা।

সাব্রিনা সিংহ:

সাব্রিনার বিশেষত্ব হল আমেরিকান রাজনীতি সম্পর্কেও তাঁর গভীর উপলব্ধি। কমলা হ্যারিস এনাকে প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে বেছে নেন।

বিনয় রেড্ডি: এনার কথা তো বলাই বাহুল্য। ইনি বাইডেনের মঞ্চে বক্তৃতা প্রস্তুতির দায়িত্বে ছিলেন। সুতরাং বাইডেনের সাথে এনার সম্পর্ক যে বেশ ভালই তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

Comments are closed.