নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মূল কাণ্ডারি মমতা ব্যানার্জি, শুভেন্দুকে নাম না করে পাল্টা ফিরহাদ! নন্দীগ্রামবাসীকে শুভেচ্ছা মুখ্য মন্ত্রীর

১০ নভেম্বর শহিদ দিবসের সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির পর বিকেলে পাল্টা সমাবেশ করল তৃণমূল! আর এই সমাবেশ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে নাম না করে বার্তা দিলেন শুভেন্দুকে। তৃণমূলের অন্দরে শুভেন্দুকে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করে ফিরহাদ বলেন, মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতা করা মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। আর বিজেপি সিপিএমের থেকেও ভয়ঙ্কর।

এদিকে এদিন সকালে ট্যুইট করে এবং বিকেলে শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামবাসীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান মুখ্য মন্ত্রী। বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষকে শুভেচ্ছা জানাতে ববিকে পাঠিয়েছি। শুভেন্দুর নাম না নিলেও উল্লেখ করেন শিশির অধিকারীর নাম।

মুখ্য মন্ত্রী বলেন, যাঁরা নন্দীগ্রাম আন্দোলন করেছিলেন, শিশির দা থেকে শুরু করে অনেকেই… তাঁদের সবাইকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তারপরই মমতা ব্যানার্জি বলেন, দলের পক্ষ থেকে আজ ববিকে নন্দীগ্রামে পাঠিয়েছি। ওখানকার মানুষকে অভিনন্দন জানাতে। কিন্তু একবারও নেননি শুভেন্দু অধিকারীর নাম।

মঙ্গলবার সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কারও একার আন্দোলন নয়, মানুষের আন্দোলন। এদিন বিকেলে শুভেন্দুর নাম না করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, নন্দীগ্রামের আন্দোলনের মূল কাণ্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপরই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফিরহাদ হাকিম নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে বলেন, হেলিকপটার নয়, সিঁড়ি দিয়েই আমরা সবাই উঠে এসেছি, মমতা ব্যানার্জি সেই সিঁড়ি তৈরি করেছেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, তিনি সিঁড়ি দিয়ে উঠে এসেছেন।

এরপর ফিরহাদ হাকিম বলেন, নন্দীগ্রাম নিশ্চিতভাবেই মানুষের আন্দোলন, কিন্তু তার মূল কাণ্ডারি মমতা ব্যানার্জি। এরাজ্যে মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতা করা মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। এদিন রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও নন্দীগ্রামে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সভায়। পূর্ণেন্দুবাবুও নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা ব্যনার্জির ভূমিকা উল্লেখ করেন।

 

Comments are closed.