রাজ্যসভার সদস্য বা রাজ্যপাল পদের জন্য নয়, ঠিক কাজটি করুন, CJI বোবডেকে খোঁচা মহুয়ার

সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে ট্যুইট তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের

দিল্লির সীমানায় ক্রমেই সংখ্যা বাড়ছে কৃষকদের। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন মেটার নাম নেই উল্টে তা আরও তেড়েফুঁড়ে উঠছে। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে ট্যুইট করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বুধবার রাতে একটি ট্যুইটে মহুয়া আগাগোড়া নাম না করে কটাক্ষে বিঁধেছেন এস এ বোবডেকে।

দিল্লির সীমানায় গত ২ মাসের বেশি সময় ধরে অবস্থান করছেন দেশের কৃষকদের একাংশ। তাঁরা যাতে রাজধানী দিল্লিতে ঢুকতে না পারেন সেজন্য একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। যা দেখে চোখ কপালে সাধারণ মানুষের। গার্ডরেলের পাশাপাশি কোথাও পুলিশ পিচ রাস্তা কেটে দিয়েছে আবার কোথাও রাস্তার উপর পুতে দেওয়া হয়েছে বড়ো বড়ো পেরেক ও লোহার শলাকা। যাতে কোনওভাবেই কৃষকরা দিল্লিতে ঢুকতে না পারেন। বন্ধ জল, ইন্টারনেট।

[আরও পড়ুন- মোদীকে ব্রিগেডে এনে বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে মরিয়া বিজেপি]

এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ শীর্ষ আদালত নীরব। এই প্রেক্ষিতে মহুয়া ট্যুইটে লেখেন, দয়া করে হার্লে ডেভিডসন থেকে নেমে দিল্লির সীমানায় যা হচ্ছে তার দিকে নজর দিন। ইন্টারনেট ফেরান, রাস্তা থেকে লোহার শলাকা সরান। ওরা আমাদেরই লোক। ভবিষ্যতে রাজ্যসভার আসন বা রাজ্যপাল পদের উচ্চাশা ত্যাগ করে দয়া করে সঠিক কাজটি করুন।

করোনা কালে নাগপুরে হার্লে ডেভিডশন বাইকে চেপে ছবি তুলিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে। আবার CJI পদ থেকে অবসরের পরই রাজ্যসভার সদস্য পদ পেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, নাম না নিলেও এই দুই ঘটনার কোথা লিখে আসলে তৃণমূল সাংসদ প্রধান বিচারপতিকেই কটাক্ষ করেছেন।

Comments are closed.