করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের নজরে মালদা-মুর্শিদাবাদ, আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্নেহের স্পর্শ প্রকল্পে হাজার টাকা

কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর রয়েছে রেড জোনে। শুক্রবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মেদিনীপুর অরেঞ্জ জোনে চলেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাকি ৩ জেলাকেও অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসতেই হবে, নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এরপর রাজ্যের নজর মালদা ও মুর্শিদাবাদের দিকে।
মুখ্যসচিব জানান, মুর্শিদাবাদে সারি রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক এবং দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সারি রোগীরা করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সময় নষ্ট না করে মুর্শিদাবাদ এবং গঙ্গার অপর পাড়ে মালদা জেলায় কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
সোমবারই পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মালদা, মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরী এবং এক উচ্চ পদস্থ পুলিশকর্তা। তাঁরা গোটা পরিস্থিতি দেখে এসে সরকারকে রিপোর্ট দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই দুই জেলায় প্রচুর পরিমাণে পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। তাঁদের উপর নজর রাখতে হবে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক আটকে রয়েছেন তাঁদের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার শুরু করেছে স্নেহের স্পর্শ প্রকল্প। এই প্রকল্পে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে।
পাশাপাশি রেশন দোকানে ৫ কেজি চালের আলাদা প্যাকেট করারও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। রেশন বিলি নিয়ে কোনওরকম শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না বলেও এদিন ফের একবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের সমস্ত জেলার ডিএম, এসপি ও স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে। সেখানে মমতা ব্যানার্জি বলেন, রেড জোনের বাইরে যে এলাকাগুলো আছে, সেখানকার প্রশাসকদের আনন্দ করার কারণ নেই। করোনা মোকাবিলার জন্য বিন্দুমাত্র ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না। জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি উপস্থিত আমলাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, দেখবেন কেউ যেন অভুক্ত না থাকে।
ব্যাঙ্কের কাজ নিয়ে এদিনও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং না মেনে, লকডাউন অমান্য করে কাজ করাচ্ছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। লকডাউন ভাঙলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Comments are closed.