১ জুন ধর্মস্থান, ৮ জুন সমস্ত অফিস খুলবে রাজ্যে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সাবধানে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বার্তা
ক্রমশ স্বাভাবিকতা ফেরানোর প্রক্রিয়া গতি পাচ্ছে রাজ্যে। ১ জুন থেকে রাজ্যে খুলে যাচ্ছে সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জা সহ প্রার্থনাগৃহ। ৮ জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস কাছারিতে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি পয়লা জুন থেকেই রাজ্যের সমস্ত চা বাগান ও পাট শিল্পে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কাজ শুরু হয়ে যাবে। নবান্ন থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। তবে সেক্ষেত্রে কঠোরভাবে মানতে হবে বেশ কিছু বিধি।
দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউনের জেরে ঝাঁপ বন্ধ ছিল মন্দির মসজিদ থেকে শুরু করে অফিস। এবার ক্রমশ তা স্বাভাবিক করার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য। শুক্রবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেন কঠোর সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বিধি পালনের মধ্যে দিয়ে খুলে যাবে রাজ্যের সমস্ত অফিস এবং প্রার্থনালয়। এর আগে অর্ধেক কর্মী দিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। এবার তা ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা একদিনে যাওয়ার নয়, তাই আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। সেই লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ।
মন্দির মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জায় এক সঙ্গে ১০ জন ঢুকতে পারবে। প্রার্থনালয়ে আবশ্যিকভাবে রাখতে হবে স্যানিটাইজার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রেনে যদি গাদাগাদি করে হাজার হাজার লোক পরিবহণ করা হয়, তাহলে কোন যুক্তিতে মন্দির-মসজিদ বন্ধ রাখতে বলবো? তিনি বলেন, এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে মানুষকে মন্দির মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা করার সুযোগটুকু দিতে চাই। তবে কোনওভাবেই ১০ জনের বেশি লোক একবারে ঢুকতে পারবেন না। বাইরে নামাজ পড়া যাবে না। কোনওভাবেই ভিড় করা যাবে না। সেক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে মন্দির, মসজিদের ধর্মগুরুদের। মমতার কথায়, ধর্মগুরুরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে লকডাউন আরও বেড়ে যাবে।
রাজ্যের স্কুল, কলেজ, আইসিডিএস সেন্টার জুন মাসটা পুরোটাই বন্ধ থাকবে। অফিস কাছারির ক্ষেত্রে একইভাবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বিধি মানতে হবে। রাজ্যে বাসে সবকটি আসনেই যাত্রী নেওয়া যাবে। দোকানপাট খোলার ব্যাপারেও সবুজ সঙ্কেত দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ সচেতন হলেই করোনাকে হারানো সম্ভব। তাঁর কথায়, বাংলা কখনও হারে না। এবারও জয় হবে বাংলার।