হিমবাহ ভেঙে বিরাট তুষারধস নামল জোশীমঠে, নিখোঁজ ১৫০

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর নিহত এবং আহত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

হুরমুড়িয়ে এগিয়ে চলেছে বরফ ভাঙা জল। জলস্তর বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বেশ কয়েকজন ভেসে যাচ্ছে জলের তোড়ে। একের পর এক বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে জলের ধাক্কায়। উজাড় হয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম…। বরিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলায় জোশীমঠের কাছে হিমবাহ ভেঙে ব্যপক তুষার-ধস নামে। ওই ধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর ব্যাপক আকার নেয়। বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল বৃষ্টি সঙ্গে তুষারপাত।  তারই ফলাফল এই তুষার-ধস।

ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে ITBP, NDRF, SDRF এর টিম। প্রশাসনের তরফ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তপবন এলাকার রানী গ্রামের কাছে ঋষিগঙ্গা পাওয়ার গ্রিড প্রোজেক্টে ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করছিল তারা সকলেই নিখোঁজ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর নিহত এবং আহত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ধসের কারণে ধৌলিগঙ্গার দুপাশের গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, ‘গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিপন্নদের জন্য প্রার্থনা করছে দেশবাসী। আমি নিজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ধার কাজের প্রতি মুহূর্তের খবর রাখছি আমি’।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্রা সিং রাওয়াত টুইট করে বলেন, ‘আমি নজর রাখছি গোটা ঘটনার উপর – আমি প্রত্যেককে অনুরোধ করছি কোনও পুরানো ভিডিও শেয়ার করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেবেন না। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজন সকলের পদক্ষেপ। ধৈর্য রাখুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে আমাদের হাত বাঁধা’।

প্রকৃতির তাণ্ডবের কাছে মানুষ অসহায়। ফিরে ফিরে আসছে কেদারনাথের স্মৃতি। গ্রামকে গ্রাম উজাড় হয়ে গিয়েছিল। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল বহু মানুষ। কেদারনাথে আগত তীর্থযাত্রীদের বহু পরিবার আজ নিখোঁজ।

Comments are closed.