শিক্ষা আনে ঔদ্ধত্য। আর তাই শিক্ষিত সমাজের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা এত বেশি! মন্তব্য আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। এখানেই না থেমে সরসঙ্ঘচালকের আরও বক্তব্য, ভারতে হিন্দু সমাজই নির্বিকল্প।
সঙ্ঘ প্রধানের গুজরাত সফর চলছে। রবিবার আহমেদাবাদে আরএসএস সদস্যদের একটি সভায় বক্তৃতা করছিলেন মোহন ভাগবত। অনুষ্ঠানে অবশ্য সপরিবারেই উপস্থিত ছিলেন মোহন ভাগবত।
সঙ্ঘের সভায় মোহন ভাগবত বলেন, ইদানীং ডিভোর্সের সংখ্যা দারুনভাবে বেড়ে গিয়েছে। মানুষ তুচ্ছ ব্যাপারেও ঝগড়া শুরু করে দিচ্ছে। খেয়াল করুন, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শিক্ষিত ও স্বচ্ছল পরিবারের মধ্যেই বেশি। আর এর কারণ হল, শিক্ষা ও স্বচ্ছলতা ঔদ্ধত্যকে ডেকে আনে। ফলশ্রুতি সংসার ভেঙে যাওয়া। সংসার ভেঙে গেলে সমাজেও তার কুপ্রভাব পড়ে। আখেরে সমাজও একটি বৃহত্তর সংসার, বলেন তিনি।
কিন্তু সমাজের এই অবস্থা কেন? শিক্ষা ও বিবাহ বিচ্ছেদের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ বোঝাতে গিয়ে তারও উত্তর দিয়েছেন সঙ্ঘ প্রধান। তাঁর মতে, আজ থেকে ২ হাজার আগে ভারতে পরিস্থিতি এমন ছিল না। ভাগবতের কথায়, সেই সময়টাই আমাদের স্বর্ণ যুগ। বরং শেষ ২ হাজার বছর ধরেই মহিলাদের গৃহবন্দি করে রাখার রেওয়াজের শুরু।
মহিলাদের গৃহবন্দি দশা নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গেলেও সরসঙ্ঘচালকের বক্তৃতায় পাওয়া যায়নি বিবাহ বিচ্ছেদের সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্কের ব্যাখ্যা। বরং সনাতন ভারতীয় সংস্কার এবং মাতৃ শক্তির কথা বারবার শোনা গিয়েছে মোহন ভাগবতের বক্তব্যে।
ভাগবত বলেন, ঘর সংসার ছাড়া কোনও সমাজ তৈরি হতে পারে না এবং অবশ্যই মহিলারা। এই মহিলারাই আমাদের সমাজের অর্ধেক জুড়ে আছেন। তাঁদের আরও বেশি করে আলোকপ্রাপ্ত করে তুলতে হবে। এই দায়িত্ব আমাদের। সমাজের প্রতি নজর না দিলে না বাঁচবে ঘর, না সমাজ। বলেন মোহন ভাগবত।
পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বচ্ছল জীবনযাত্রার প্রভাবে ঔদ্ধত্যের জেরে সংসার ভেঙে যাওয়া আটকাতে তাঁর নিদান, ফিরতে হবে হিন্দু সোসাইটি বা হিন্দু সমাজে। হিন্দু সমাজ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন স্পষ্ট করেছেন তাও। আরএসএস প্রধান বলেন, হিন্দু সোসাইটি একজন মানুষের কাছে পরিবারেই সমার্থক।