বিমানে মশার দাপট, যাত্রীদের জন্য বিশেষ সোয়েটার চালু করল ইন্ডিগো

বর্ষায় কিংবা গ্রীষ্মে মশার কামড় খেয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। মশার জ্বালা এবার আকাশেও। মশার হাত থেকে নিস্তার নেই মাটি থেকে ১০ কিংবা ২০ হাজার ফুট উঁচুতেও। মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে এখন থেকে আকাশেও পরতে হবে সোয়েটার। আশ্চর্য শোনালেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি, বিমানে মশার অত্যাচারের হাত থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে বিশেষ এক ধরনের সোয়েটারের ব্যবস্থা করেছে ইন্ডিগো বিমান কর্তৃপক্ষ। এই মাসেই বিমান যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এই সোয়েটার। সঙ্গে দেওয়া হবে মশা মারার ইলেক্ট্রনিক ব্যাট, যা দেখতে অনেকটা টেনিস র‍্যাকেটের মতো। বিমানে এই বিশেষ পরিষেবার নেপথ্যে রয়েছে একটি ঘটনা। মাসখানেক আগে, লখনউয়ের সৌরভ রাই নামে জনৈক চিকিৎসক বিমানে মশা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু বিমানকর্মীরা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এরপর সৌরভ রাইকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী সুরেশ প্রভুও। কিন্তু এরপর যাত্রীদের পক্ষ থেকে ক্রমেই বাড়তে থাকে মশা নিয়ে অভিযোগ। তাতেই চাপে পড়ে ইন্ডিগোর এই ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি মাস থেকেই সমস্ত যাত্রীদের জন্য ব্যাটারি চালিত সোয়েটারের ব্যবস্থা করা হবে এবং এর ব্যবহারিক পদ্ধতিও যাত্রীদের শিখিয়ে দেওয়া হবে বলে ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত নানান অভিযোগ জানাতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘বিমান পরিষেবা সম্পর্কে বেশ কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। কখনও যান্ত্রিক গোলযোগ অথবা কখনও মশার সমস্যা। তবে এখন মশা প্রতিরোধের জন্য সোয়েটারের ব্যবস্থা হলেও ইলেকট্রনিক ব্যাটটি শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতেই যাত্রীদের দেওয়া হবে’। তবে ঠিক কী ধরনের পরিস্থিতি সেই ব্যাপারে তিনি কিছু জানান নি। বর্তমানে দেশের বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশের বেশি শেয়ার ইন্ডিগোর দখলে রয়েছে। তাই বাণিজ্যিক দিক থেকেও নিজেদের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে ইন্ডিগো তৎপর হয়েছে বলে বাণিজ্য মহলের ধারণা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.